সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ফাহমিদুল ইসলামকে সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে আর রাখা হচ্ছে না সিনিয়র দলে। প্রায় একই সময়ে অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা থাকায় ইতালিপ্রবাসী এই উইঙ্গারকে বিবেচনা করা হচ্ছে সেই দলের জন্য। সান্ডারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলা কিউবা মিচেলও তৈরি বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য। গতকাল জাতীয় দল কমিটির সভা শেষে জানানো হয়েছে এই প্রবাসীকেও ডাকা হবে যুবদলে।
এ ছাড়া কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া প্রবাসীদের ট্রায়াল থেকেও ছয়-সাতজন খেলোয়াড়কে নেওয়া হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্পে। সামির মিয়া, জায়ান আহমেদ, ইকরামুল ক্যাসপার, বীতশোক চাকমা আছেন সেই তালিকায়। যুবদলের কোচ কে হবেন সেটি নিয়ে অবশ্য এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারীর ওপর বর্তাতে পারে সেই দায়িত্ব।
মারুফুল হক, জুলফিকার মাহমুদ আর মাসুদ কায়সারও আছেন আলোচনায়। জাতীয় দল কমিটির সভায় হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই মুহূর্তে ভালো প্রোফাইলের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও আলোচনা হয়েছে সভায়।
নেপালের দিক থেকেও তা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এরই মধ্যে এশিয়ার বাইরের একটি দল একই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আগ্রহ দেখানোয় সেটিও এখন আছে পর্যালোচনায়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে। ম্যাচের আগে সে দেশে কন্ডিশনিং ক্যাম্পও হতে পারে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প হতে পারে ফর্টিস গ্রুপের অবকাঠামোতে, অনুশীলন হতে পারে তাদের জলসিঁড়ির মাঠে।
গতকালের সভাও হয়েছে ফর্টিস ডাউনটাউন রিসোর্টে। ফর্টিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদত হোসেন জাতীয় দল কমিটিরও সদস্য। গতকাল সভা শেষে জাতীয় দল নিয়ে তিন বছরের পরিকল্পনার কথা তিনি বলেছেন, ‘এখন হামজা চৌধুরীর মতো তারকা খেলোয়াড়রা আসায় বাংলাদেশ দল নিয়ে অনেকেই আগ্রহী হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে চায়। আমরাও চাই জাতীয় দলকে ব্যস্ত রাখতে। তিন বছর পর আমাদের র্যাংকিং কেমন হতে পারে, তেমন একটা পরিকল্পনা নিয়েই আমরা খেলব।’