প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ ঘুরে দাঁড়ালেন লিটন দাস-শামীম হোসেনরা। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন লিটন। এ ছাড়া ৪৮ রান করেছেন শামীম।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মোটেও ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। রানের খাতা খোলার আগেই তিন বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে গেছেন ইমন।
পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। বিনুরা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের গুড লেংথের বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন তামিম। তবে তা তার ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি। শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো কুশাল পেরেরা দারুণ এক ক্যাচ নেন। ৮ বলে ৫ রান করেছেন এই ওপেনার।
চারে নেমে দলের হাল ধরেন হৃদয়। লিটনের সঙ্গে তার ৬৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ২৫ বলে ৩১ রান করে হৃদয় ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বেশ ভুগছেন লিটন দাস। ধারবাহিক ব্যর্থতায় অধিনায়কের একাদশে অন্তর্ভুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল! অবশেষে রানের দেখা পেলেন তিনি। তিনে নেমে দলের হাল ধরেন। ৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পরও লিটন ইতিবাচক ব্যাটিং করেছেন। ৩৯ বলে পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা। ১৩ ইনিংস পর এই সংস্করণে ফিফটি পেলেন তিনি। সবমিলিয়ে ৫০ বলে করেছেন ৭৬ রান।
পাঁচে নেমে ব্যর্থ মিরাজ। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন শামীম। ২৭ বলে করেছেন ৪৮ রান। তাতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।