বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন ৩৪—এর উদ্যোগে কক্সবাজারের বাইশফাঁড়ী ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসরত মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ২০টি পরিবারের ৭১ জন নাগরিককে স্বদেশে (মিয়ানমার) ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিজিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইসব পরিবার ১-২ বছর ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তংচংঙ্গা ও হেডম্যান পাড়ায় স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসবাস করছিল। মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নির্দেশনা ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের পেশাদারিত্ব, ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে ২২ ও ২৩ জুলাই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি জানায়, সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর নির্দেশনা ও ‘বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক’ এই ভিশন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এ বিষয়ে শুরু থেকেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায়, ২২ ও ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে কৌশলগত ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাইশফাঁড়ী ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা থেকে ২০টি পরিবারের ৭১ জন মায়ানমার নাগরিককে নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিজিবি নিশ্চিত করে জানায়, বর্তমানে সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আর কোনো মায়ানমার উপজাতি সম্প্রদায় অবৈধভাবে বসবাস করছে না।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেই সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সব সময়ই সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।
এই উদ্যোগকে স্থানীয় প্রশাসন ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা সাধুবাদ জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও বিজিবির এমন পেশাদারিত্বপূর্ণ ও মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।