রাজধানীর হাজারীবাগের গুদারাঘাট এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের আয়োজিত একটি কথিত “পিকনিক পার্টি”-তে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে সেনাবাহিনীর ১০টি সেকশন অংশ নেয়।
সেনা সূত্র জানায়, অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত লঞ্চে কিশোর গ্যাংয়ের কার্যকলাপ শনাক্ত ও তা প্রতিরোধ করা। অভিযানের সময় লঞ্চটি ঘিরে তল্লাশি চালানো হলে সেনা সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও অপরাধমূলক সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে—১৭ লিটার অ্যালকোহল, ৪৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৯ প্যাকেট হেরোইন, ৭৭ প্যাকেট গাঁজা, একাধিক দেশি ধারালো অস্ত্র এবং ২টি ইলেকট্রিক শক ডিভাইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে সন্দেহভাজন ২০ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক, রিকশাচালক ও দিনমজুর শ্রেণির যুবক। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আটককৃতদের মধ্য থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী ৯ জনকে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক ৯ জন হলেন – মো. শফিকুল ইসলাম (৩৭), মো. ইমরান আলী (২৬), মো. ইব্রাহিম (১৮), মো. বাবু হোসেন (৩৭), মো. রিপন সরদার (৪০), মো. রমজান (১৭), মো. মোবারক হোসেন (২২), মো. সিয়াম (১৫) এবং মো. সোহেল (৩৯)।
বসিলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) মো. আরমান হোসেন বলেন, “আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ অভিযানে সেনাবাহিনীর সমন্বিত তৎপরতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীপথে সংঘটিত সম্ভাব্য বড় ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।