চীনের উত্তরাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় বেইজিংয়ে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।
বন্যায় প্রায় ১৩০টি গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বেশ কয়েকটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে এখানকার বাসিন্দারা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আটকে পড়া লোকজনকে বের করে আনছেন।
এছাড়া বেইজিংয়ে আটকে পড়া বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারীরা বুক-গভীর বন্যার পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছেন, যেখানে ভারী বন্যার কারণে গাড়ি ডুবে গেছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেইজিংয়ের শহরতলির জেলা মিয়ুন। সেখানকার একজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, সোমবার সকালে তিনি তার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে বন্যার পানিতে যানবাহন ভেসে যেতে দেখেছেন।
তখন একটি ক্রলার ক্রেনের সাহায্যে মানুষ এবং একটি পোষা কুকুরকে নিরাপদ স্থানে তুলে নেওয়া হয়।
বেইজিংয়ের আরেক বাসিন্দা জানান, খুব দ্রুত এবং হঠাৎ করেই বন্যা হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই জায়গাটি পানিতে ভরে গেল।
এদিকে বেইজিংয়ের অনেক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামতের পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বছরের এই সময়টাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয় বেইজিংয়ে। ২০১২ সালের জুলাই মাসে বন্যায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
বন্যা পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বাত্মক অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি