কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি কুকুরের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটে এয়ারএস্ট্রা এয়ারলাইন্সের ঢাকা অভিমুখী একটি ফ্লাইটের। শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনায় ফ্লাইটটি সাময়িকভাবে উড্ডয়ন স্থগিত করে নিরাপত্তাজনিত পর্যবেক্ষণে নেওয়া হয়। তবে পাইলট ও গ্রাউন্ড টিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না পাওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে সফলভাবে উড্ডয়ন করে। ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
জানা গেছে, বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রানওয়ে থেকে মৃত কুকুরটিকে সরিয়ে নেয়। এরপর ফ্লাইটটির পাইলট ও গ্রাউন্ড ক্রু বিমানের ‘থ্রো-চেক’ সম্পন্ন করে নিশ্চিত হন, এতে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়নি। সবকিছু স্বাভাবিক থাকায় রাত ৮টা ৮ মিনিটে ফ্লাইটটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্ব ঘটে।
ফ্লাইটটিতে ৭২ জন যাত্রী ছিলেন। যারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম মর্তুজা কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফ্লাইটের ধাক্কায় কুকুরটি মারা গেছে। তবে যাত্রীরা নিরাপদে ছিলেন এবং ফ্লাইটটি স্বাভাবিকভাবে উড্ডয়ন করে।’
তিনি আরো জানান, দিনের বেলায় কুকুরের তেমন উপদ্রব না থাকলেও সন্ধ্যার পর রানওয়ে এলাকায় কুকুরের চলাচল বেড়ে যায়। আলো কম থাকায় পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৮৯ জন আনসার সদস্য পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। তবুও এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না।