ঢাকাSaturday , 9 August 2025
  1. #লিড নিউজ
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আজকের মিরপুর
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. কুষ্টিয়ার খবর
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. দুর্ঘটনা
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ ১০-এ বাংলাদেশের অবস্থান ২য়

Link Copied!

বিশ্বের সেরা তিন পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হলো চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। এছাড়া ভারতও বিপুল পরিমাণ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। এই দেশগুলো এখন নতুন নতুন প্রতিযোগীর মুখোমুখি হচ্ছে। শনিবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। প্রতি বছর এই খাত থেকে শত শত কোটি ডলারের ব্যবসা হয় এবং পোশাক রপ্তানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে পোশাক রপ্তানি করে।

বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ কাজ করে। এটি বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রতিবেদনে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি রপ্তানিকারক দেশ কত মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষে থাকা চীন ২০২৩ সালে ২৬০ দশমিক ৮ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ৩০১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৪৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

তৃতীয় স্থানে থাকা ভিয়েতনাম ২০২৩ সালে ৪২ দশমিক ১ ও ২০২৪ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে তুরস্ক। এ দেশটি ২০২৩ সালে ৩৮ দশমিক ৬ এবং ২০২৪ সালে ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি থেকে আয় করেছে।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটি ২০২৩ সালে ৩৭ দশমিক ৫ এবং ২০২৪ সালে ৩৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এ খাত থেকে।

এরপর ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা ইতালি ২০২৩ সালে ৩৭ দশমিক ১ ও জার্মানি ২০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এ দুটি দেশের ২০২৪ সালের আয়ের তথ্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ পোশাক আমদানি করে থাকে। দেশটি আবার অন্য দেশে পোশাক রপ্তানিও করে। ২০২৩ সালে পোশাক শিল্প থেকে মার্কিনিদের আয় ছিল ২১ দশমিক ৮ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে আয় করেছে ২২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। তাদের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম।

নবম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান। দেশটি ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ৪ এবং ২০২৪ সালে ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পোশাক খাত থেকে আয় করেছে।

তালিকার দশম স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটি ২০২৩ সালে ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ২১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

• পোশাক রপ্তানিতে এ দেশগুলো কেন শীর্ষে?

• চীন : বস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে চীন বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে। দেশটির বার্ষিক আয় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। উন্নত প্রযুক্তি, বিশাল কারখানা এবং কম উৎপাদন খরচের কারণে চীন সব ধরনের বস্ত্র তৈরি করে এবং বিশ্বের প্রায় সব দেশে রপ্তানি করে। তাদের প্রধান বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।

• বাংলাদেশ : বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী তৈরি পোশাক শিল্প রয়েছে। এ খাত থেকে ঢাকা বছরে ৪০-৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করে। বাংলাদেশ মূলত টি-শার্ট, শার্ট এবং ট্রাউজার তৈরি করে এবং ওয়ালমার্ট, জারা এবং এইচঅ্যান্ডএম-এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কাছে পোশাক সরবরাহ করে থাকে। বৃহৎ উৎপাদনের ক্ষমতা এবং সাশ্রয়ী শ্রমের কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রেখেছে।

• ভিয়েতনাম : প্রতি বছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বস্ত্র রপ্তানি করে ভিয়েতনাম। বিশেষ করে নিটওয়্যার, স্পোর্টসওয়্যার এবং জ্যাকেট তৈরিতে তারা বিশেষভাবে দক্ষ। দ্রুত ডেলিভারি, বিভিন্ন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব কারখানার কারণে তারা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে উঠেছে।

• তুরস্ক : তুরস্কের বস্ত্র রপ্তানির মূল্য প্রায় ৩৫-৩৮ বিলিয়ন ডলার। তারা ডেনিম, তোয়ালে, হোম ফেব্রিক এবং উন্নত মানের সুতির পোশাক রপ্তানি করে। ইউরোপের কাছাকাছি হওয়ায় তারা দ্রুত পণ্য সরবরাহ করতে পারে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি তাদের প্রধান ক্রেতা।

• ভারত : ভারত বছরে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারের বস্ত্র রপ্তানি করে। যার মধ্যে সুতা, রেশম, পাট, উল, এবং সিনথেটিক ফেব্রিক অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হলো পোশাক, সুতা এবং গৃহস্থালি পণ্য। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ এবং জার্মানির মতো দেশে এই পণ্যগুলো পাঠানো হয়।

• ইতালি : ২০২৩ সালে ইতালি পোশাক খাত থেকে ৩৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তারা বিলাসবহুল ফেব্রিক, ডিজাইনার পোশাক এবং উন্নত মানের উলের ওপর জোর দেয়। কারুশিল্প এবং শৈল্পিকতার জন্য তাদের পণ্যগুলো বড় ব্র্যান্ডগুলোর কাছে খুবই জনপ্রিয়।

• জার্মানি : জার্মানি উচ্চ-প্রযুক্তির বস্ত্র তৈরি করে। যা নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং গাড়ি শিল্পের মতো খাতে ব্যবহৃত হয়। উদ্ভাবনী গবেষণা এবং সূক্ষ্ম প্রকৌশলের কারণে চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে তারা প্রযুক্তিগত বস্ত্রের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

• যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত প্রযুক্তিগত ফেব্রিক, ডেনিম এবং শিল্প-কারখানার উপকরণ উৎপাদন করে থাকে। এই পণ্যগুলো সাধারণত প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা এবং মোটরগাড়ি শিল্পের জন্য তৈরি হয়। মেক্সিকো, কানাডা এবং চীন তাদের প্রধান ক্রেতা।

• পাকিস্তান : পাকিস্তানের পোশাকশিল্পের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হলো পোশাক, তোয়ালে, বিছানার চাদর এবং সুতির সামগ্রী। দেশের শক্তিশালী তুলা চাষ এবং সাশ্রয়ী উৎপাদন খরচের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো দেশ তাদের প্রধান বাজার।

• স্পেন : স্পেন গৃহস্থালি বস্ত্র, প্রযুক্তিগত উপকরণ এবং ফ্যাশনেবল পোশাক উৎপাদন করে। জারা এবং ম্যাঙ্গোর মতো ব্র্যান্ডের কারণে ফ্যাশন-সচেতন দেশ হিসেবে তাদের সুনাম রয়েছে। ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানি তাদের প্রধান বাজার।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।