যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আলোচনা চলছে না বলে বুধবার জানিয়েছে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ছয়জন সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার জানিয়েছিল, ইসরায়েল পূর্ব আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে গাজার ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে জুবা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।তবে এক বিবৃতিতে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এ দাবিগুলো ভিত্তিহীন ও দক্ষিণ সুদান সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন নয়।’
পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উপত্যকাটিতে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির আবাস। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার আবারও তার সেই মতামত পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কথা জোর দিয়ে বলেছেন।বিশ্বের অনেক নেতা গাজার জনসংখ্যা উচ্ছেদের পরিকল্পনায় আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।
ফিলিস্তিনিদের মতে, এটি হবে ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের মতো আরেকটি ‘নাকবা’ (বিপর্যয়)। সে সময় লাখো মানুষ পালিয়ে গিয়েছিল বা জোরপূর্বক উচ্ছেদ হয়েছিল।চলতি বছরের মার্চে সোমালিয়া ও এর বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডও জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল থেকে গাজার ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের কোনো প্রস্তাব তারা পায়নি। মোগাদিশু স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানডে সেমায়া কুম্বা গত মাসে ইসরায়েল সফর করে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জুবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গত মাসেই দক্ষিণ সুদান সরকার নিশ্চিত করে, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত আটজন অভিবাসী বর্তমানে জুবার কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর প্রায় অর্ধেক সময়ই দক্ষিণ সুদান যুদ্ধাবস্থায় কাটিয়েছে। বর্তমানে দেশটি রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। গত মার্চে প্রেসিডেন্ট সালভা কিয়ির সরকার উপরাষ্ট্রপতি রিয়েক মাশারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরো অস্থির হয়ে উঠেছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।