রবিবার (৩১ আগস্ট) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা সংশোধনের গেজেটে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় গভর্নিং বডি (কলেজপর্যায়ে) ও ম্যানেজিং কমিটি (নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে) দ্বারা। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্বই এ কমিটির ওপর বর্তায়— যেমন- তহবিল সংগ্রহ, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বা অপসারণ, ছুটি মঞ্জুর, প্রশাসনিক কার্যক্রম তদারকি ইত্যাদি।
বর্তমানে দেশে ৩৫ হাজারের বেশি বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও কলেজপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ১৬৪টি, যেখানে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষক ও কর্মচারী কাজ করছেন।
সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী—
১। গভর্নিং বডির সভাপতি হতে হলে প্রার্থীকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি অথবা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
২। পরপর দুবার সভাপতি পদে থাকা যাবে না।
কারা হতে পারবেন সভাপতি
শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সভাপতি হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পেশাগত যোগ্যতাও নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নবম গ্রেড বা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অবসরে গেলে পঞ্চম গ্রেড বা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক, প্রকৌশল, এমবিবিএস বা কৃষি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী অথবা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হতে পারবেন।