শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানি উজানে সামান্য কমায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫ অক্টোবর, শনিবার সকাল থেকে ভাটিতে পানি বাড়ায় উপজেলার হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
সবমিলিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫০টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় ৭ হাজার মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে পানি নেমে গেছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যাও কমেছে। তবে উজানে পানি কমার পর শনিবার সকাল থেকে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা পূর্ব পাড়া, ঘাগড়া কবিরাজপাড়া, ঘাগড়া পটোলপাড়া, ঘাগড়া মণ্ডলপাড়া, পুরুষোত্তমখিলা, বেলতৈল এবং মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের জুলগাঁও, বানিয়াপাড়া, হাঁসলিবাতিয়া ও রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার অনেক বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে এবং দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ অক্টোবর, শুক্রবার উপজেলার সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, গৌরীপুর ও হাতিবান্ধা ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
আমন ও সবজি আবাদ, অর্ধশতাধিক মৎস্য খামার, ঘরবাড়ি এবং গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের খৈলকুড়া, দীঘিরপাড় ও পূর্ব দীঘিরপাড় এলাকার তিনটি স্থানে মহারশি নদীর বাঁধের ১৫০ মিটার অংশ ভেঙে যায়।
ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, উজানে পানি সামান্য কমলেও ভাটি এলাকায় পানি বাড়ছে। শনিবার পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।