কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ ক্যাস্পাসর যেকোনো আয়োজন ও সমস্যা সমাধানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি ১০ টি নির্দেশনা দিয়েছে কুবি প্রক্টরিয়াল বডি।
৬ অক্টোবর, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সাক্ষরিত একটি নির্দেশনাবত্র থেকে এই তথ্য জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমেরই অনুমতি দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, ক্রীড়া ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত যেকোনো আয়োজন করতে প্রক্টরিয়াল বডিকে লিখিত অবহিতকরণপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যেকোনো অনুষ্ঠান করার জন্য হল কর্তৃপক্ষের (প্রভোস্ট, হাউস টিউটর) অনুমতি সাপেক্ষে প্রক্টরিয়াল বডিকে অবহিত করতে হবে।
হল সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় হল কর্তৃপক্ষকে (প্রভোস্ট, হাউস টিউটর) অবহিত করে উক্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। সমাধান না হলে প্রভোস্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
নিজ বিভাগে কোনো সংকট ও সমস্যার মুখোমুখি হলে বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করতে হবে। সমাধান সম্ভব না হলে ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো পর্যায়ে, যে কারও দ্বারা যৌন-হয়রানি, ইভটিজিং, বডিশেমিংয়ের শিকার হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন-নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল’ এ লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে হবে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ও মেডিকেল সার্ভিস সম্পর্কিত (যেমন- অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য) বিষয়ে ইউনিভার্সিটির মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থী কিংবা কোনো চাকরিজীবীর বিষয়ে অভিযোগ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে যোগাযোগ করতে হবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
ক্যাম্পাসে ‘মবজাস্টিস’, যেকেনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দেখলে কিংবা সংঘটিত হলে বা হওয়ার আশঙ্কা দেখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমকে যথাস্তব অতিদ্রুত অবহিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, ‘ আমরা সকলেই চাই নিরাপদ ক্যাম্পাস। নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরি করতে গেলে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। এছাড়া অনেক সময় শিক্ষার্থীরা জানে না সমস্যা সমাধানের জন্য কোথায় যেতে হবে। তাই আমরা নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি প্রক্টরিয়াল বডির কাজ কোনগুলো এবং অন্য দপ্তরগুলো কোন কোন কাজগুলো করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় জোর দিচ্ছে। যেটা আশাবাদী করে সবাইকে। আমরাও চাই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার একটি সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে।’