ভোলার দৌলতখানে গ্রামের বাড়িতে স্কুলছুটিতে এসে ভাইবোনের তোলা ছবি এখন যেন স্বপ্ন ভঙের দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বজনদের কাছে। দুর্ঘটনায় বিলীন হয়েছে আগামীর কর্ণধারদের জীবন।
উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আশরাফুল ইসলামের মেয়ে ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিয়া তাবাসসুম নাদিয়ার (১৩) দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান আশরাফ নাফি একই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে ভাইবোনের ছবি নিয়ে স্বজনদের আহাজারি চলছে। ছবি কেবল স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে। আর কান্নার সুর বাজে।
এদিকে বাবা আশরাফুল ইসলাম নীরব ও মা তাহমিনা বেগম মূর্ছা যান ক্ষণে ক্ষণে।
নাদিয়ার চাচা সাবেক শিক্ষক নেতা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, এ দৃশ্য দেখার নয়। একমাত্র ছেলে ও মেয়েকে ভালো স্কুলে লেখাপড়ার জন্য ভোলার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন আশরাফুল। তাদের কাছে এখন শুধু ছেলেমেয়ের ছবি আছে। চাইলে আবার দুই সন্তানের ছবি এক করা যাবে না।
আশরাফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন হুমায়ুন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার ভোর ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন পরপারে চলে যায় নাদিয়া। মঙ্গলবার বাদ জোহর জানাজা শেষে ঢাকার উত্তরার তুরাগ থানা এলাকার কামারপাড়া জামে মসজিদ গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।