মিসরের পর এবার মধ্যপ্রাচ্যে ন্যাটো স্টাইলে একটি সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইরান। সোমবার কাতারে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রস্তাব পেশ করার কথা রয়েছে।
গত সপ্তাহে দোহায় হামাস কূটনীতিকদের আবাসিক ভবনে ইসরাইলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এটিকে কয়েক দশকের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সমন্বিত প্রতিরক্ষা চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ইসরাইলকে মোকাবিলায় ইসলামি দেশগুলোকে সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইরাকও।
এই সম্মেলনে ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং ২২ সদস্যবিশিষ্ট আরব লীগ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এপি, আনাদোলু।
এই প্রস্তাবনার পেছনে মূল কারণ হলো ইসরাইলের চলমান হামলা। চলতি বছরের শুরুতে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে টানা ১২ দিন হামলা চালায় ইসরাইল, গাজায়ও অনবরত চলছে তাদের তাণ্ডব, এছাড়া কাতারে সাম্প্রতিক আক্রমণ সবমিলিয়ে ইসরাইলকে পুরো অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসাবে দেখছেন মুসলিম নেতারা। আরব ও ইরানি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আরও হামলার ঝুঁকিতে পড়বে।
এদিকে, ইসরাইলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি। রোববার আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক অধিবেশনে তিনি বলেছেন, আরব বিশ্ব কাতারে ইসরাইলি ‘বর্বর’ হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাতার যে আইনি ব্যবস্থা নেবে, তাতে তারা সমর্থন জানাবে।’
তিনি আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই দ্বিচারিতা পরিহার করার সময় এবং ইসরাইলকে তাদের অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সম্মেলনের পূর্ববর্তী এ বৈঠকে ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করেছেন আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও।
তিনি বলেছেন, ‘অপরাধের মুখে নীরবতা অপরাধকে আরও উৎসাহিত করে।’ গেইত জোর দিয়ে বলেছেন, কাতার একা নয়, আরব ও ইসলামি বিশ্ব তাদের পাশে আছে।