ঢাকাTuesday , 16 September 2025
  1. #লিড নিউজ
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আজকের মিরপুর
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. কুষ্টিয়ার খবর
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. দুর্ঘটনা
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

গুগলের এসেক্স ডেটা সেন্টার থেকে বছরে ৫.৭ লাখ টন কার্বন নিঃসরণের আশঙ্কা

Link Copied!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে বড় ধরনের চাপ পড়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের ওপর। ফলে পরিবেশবান্ধব হওয়ার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এসেক্স কাউন্টিতে গুগলের নতুন একটি বৃহৎ ডেটা সেন্টার থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭২৭ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা হিথ্রো থেকে মালাগা রুটে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০০টি স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইটের সমান এমনটাই জানিয়েছে পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিপত্র।  খবর দ্য গার্ডিয়ান।

যুক্তরাজ্যের এসেক্স কাউন্টির থাররক এলাকায় ৫২ হেক্টর (১২৮ একর) জমির ওপর গুগলের নতুন একটি বিশাল হাইপারস্কেল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের একটি সহযোগী সংস্থা বাস্তবায়ন করছে। অনুমোদন পেলে এটি হবে যুক্তরাজ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য গড়ে ওঠা বৃহত্তম প্রযুক্তিকেন্দ্রগুলোর অন্যতম।

যুক্তরাজ্যের স্টারমার সরকারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে এআই ব্যবহারের ফলে কম্পিউটিং ক্ষমতার চাহিদা ১৩ গুণ বাড়বে।

সেই চাহিদা পূরণে দেশজুড়ে একাধিক নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবেই এনভিডিয়া ও ওপেনএআইয়ের মতো মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের সঙ্গে বড় বিনিয়োগ চুক্তির ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এই প্রকল্প নিয়ে পরিবেশবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তাদের মতে, এই ধরনের ডেটা সেন্টারগুলো শুধু বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনই করবে না, পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পানির মতো সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরও মারাত্মক চাপ ফেলবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ফক্সগ্লোভ জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ডেটা সেন্টারটি একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তুলনায়ও বেশি দূষণ ঘটাবে। তাদের দাবি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর একাধিক হাইপারস্কেল প্রকল্পের অংশ, যারা নিজেদের মুনাফার জন্য যুক্তরাজ্যের পরিবেশের ক্ষতি করছে।

সংগঠনটি আরো জানিয়েছে, স্টারমার সরকার যদি বড় প্রযুক্তি কোম্পানির স্বার্থে কাজ করে এবং ট্রাম্প ঘরানার নীতির অনুসরণ করে তাহলে এর খেসারত দিতে হবে যুক্তরাজ্যের সাধারণ জনগণকে। যেমন বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি, পানি সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মারাত্মক পড়বে।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রায় ২.৫ শতাংশ ডেটা সেন্টারগুলোর দখলে।

তবে হাউস অব কমন্স লাইব্রেরির তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এই চাহিদা চার গুণ বেড়ে যেতে পারে।গুগল অবশ্য জানিয়েছে, এই প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত এবং এটি যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক কার্বন বাজেটে বড় প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু জলবায়ু আন্দোলনকারীরা গুগলের এই দাবি মেনে নিতে নারাজ।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রকাশিত জুলাই মাসের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—দেশের বিদ্যুৎ গ্রিডকে কার্বনমুক্ত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কারণে ডেটা সেন্টারগুলো যুক্তরাজ্যের মোট কার্বন বাজেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে ব্রিটিশ সরকার। সরকারের মতে, বরং আরো বড় উদ্বেগ হলো—যদি নতুন ডেটা সেন্টারে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হয় তবে যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়তে পারে। এর ফলে দেশটিতে একটি “কম্পিউট গ্যাপ” বা গণনাশক্তির ঘাটতি তৈরি হতে পারে—যা জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বের লক্ষ্যে হুমকি তৈরি করতে পারে।

এদিকে, সম্প্রতি এমন খবরও প্রকাশ পেয়েছে যে গুগল টিসাইডে একটি বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা পরামর্শদাতা সংস্থা বেইন অ্যান্ড কোম্পানি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা সেন্টার-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ২ শতাংশ এবং শিল্পখাতভিত্তিক নির্গমনের ১৭ শতাংশ পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে। জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর দেশগুলোতে এই প্রভাব আরো তীব্র হতে পারে।

থাররকে গুগলের প্রস্তাবিত ডেটা সেন্টার প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। টিসাইড প্রকল্প নিয়েও গুগলের বক্তব্য, ‘আমরা গুজব বা জল্পনা নিয়ে মন্তব্য করি না।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।