সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১০ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে কার নিয়ে রেসে মেতে ওঠা দুই চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে জব্দ করা হয় রেসে অংশ নেয়া ছয়টি প্রাইভেট কার।
৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব প্রাইভেটকার জব্দ ও জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নগরের কোতোয়ালি থানার আলকরণ রোডের বাসিন্দা আনসারুল হকের ছেলে মো. আশারাফুল হক (৩৫) ও বাকলিয়া থানার তুলাতলী এলাকার হাজী সোলায়মান সওদাগরের ছেলে মো. এমরান উদ্দিন (২৪)।
টানেল উদ্বোধনের পরদিন ২৯ অক্টোবর রাতে কিছু প্রাইভেট কার টানেলের আনোয়ারা অংশের অ্যাপ্রোচ সড়কে (চায়না হারবাল ক্রসিং) এবং টানেলের ভেতরে প্রতিযোগিতায় নামে।
এ ঘটনায় ১ নভেম্বর রাতে কর্ণফুলী থানায় সাতটি গাড়ির নম্বর উল্লেখ করে মামলা করেন টানেলের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম।
উপ-কমিশনার শাকিলা বলেন, মামলার পরপরই গাড়িগুলোর মালিকানা যাচাইয়ে বিআরটিএ থেকে তথ্য নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছিল। এগুলোর মধ্যে কিছু গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে, মালিকের ফোন নম্বর না থাকায় শনাক্ত করা কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল।
“টানা অনুসন্ধানে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়টি গাড়ি আটক করা হয়েছে।”
তিনি জানান, মামলায় যে গাড়িগুলোর নম্বর উল্লেখ করা হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে দুই গাড়ি মালিক আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছিল।
বৃহস্পতিবারও তিনজন জামিন নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “অপর এক গাড়ির মালিক নেপালে অবস্থান করছেন এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন জানান, রেসিংয়ে ৯টি গাড়ি অংশ নিয়েছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, যে সাতটি গাড়ির নম্বর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি এবং নম্বর শনাক্তবিহীন দুইটি গাড়ির একটি আটক করা হয়েছে।
পাশাপাশি নম্বর উল্লেখ করা একটি গাড়ির মালিক এবং নম্বর শনাক্ত করা যায়নি এমন একটি গাড়ির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, টানেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার হলেও অ্যাপ্রোচ সড়কে গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এরপর টানেলের ভেতরেও গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে মোট ১০টি প্রাইভেট কার দেখা যায়।
সড়ক পরিবহন আইনে হওয়া মামলায় রেসিংয়ে থাকা শনাক্ত হওয়া সাতটি প্রাইভেট কারের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও দুই/তিনটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।
শনাক্ত হওয়া গাড়ির নম্বরগুলো হচ্ছে- চট্টমেট্রো গ- ১২-৯০৪৩, চট্টমেট্রো ঘ- ১১-৫৭০২, ঢাকামেট্রো খ- ১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো খ- ১২-১৮১৪, চট্টমেট্রো গ- ১৩-৩৫৭৩, চট্টমেট্রো গ- ১৪-২২৫৪, ঢাকা মেট্রো ভ- ১১-০২১৭।