সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরাইলি বাহিনীর অবরোধের পর গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) সব রোগীরই মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া আলজাজিরার কাছে এই তথ্য তুলে ধরেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে সাত হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। চিকিৎসকরা এখনও রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরাইলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি একটি ‘বড় কারাগার’ এবং ‘গণকবর’ হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সালমিয়া বলেন, আমাদের কিছুই নেই। বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পানি নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে রাখা হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালের অবস্থা নিষ্ঠুর ও বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালকে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে।
এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, আল-শিফার আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার মাত্র দুদিনের মাথায় বাকি সব রোগী মারা গেলেন।
হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালে ভেতরে সাত হাজার মানুষ আটকা আছেন। চিকিৎসকরা এখনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালটি ঘেরাও করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালে হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে, এমন দাবি করে হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের সেনারা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এ দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) ইসরায়েলি সেনারা আকস্মিকভাবে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর এই হাসপাতাল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। যদিও ইসরায়েলের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে হামাস।