সাভার থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা শামিন মাহফুজের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) আদালতের সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরে তাকে সাভার থানার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ২ জুলাই সাভার থেকে ফয়সাল নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ জুলাই তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে ৫ জুলাই সাভার মডেল থানায় ফয়সালসহ আরো পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন এটিইউর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। এ মামলায় শামিন মাহফুজ এজাহারভুক্ত আসামি নয়।
তবে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় বলা হয়, গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ফয়সাল ও যুবরাজ। তারা সৌদি আরব থেকে ২৯ অক্টোবর পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর তুরখাম স্থল সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে ঢোকেন।
পরে ফয়সাল গত ১০ নভেম্বর আফগানিস্তান থেকে তুরখাম স্থল সীমান্ত দিয়ে আবারও পাকিস্তানে যান।
পাকিস্তানের করাচি থেকে দুবাই হয়ে গত ১৬ নভেম্বর তিনি ঢাকা ফেরত আসেন।
সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপির মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার সহযোগী আহমেদ জুবায়ের যুবরাজসহ (২৩) পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে যায়। যুবরাজের বাসা সাভারের ভাটপাড়ায়। পরবর্তীতে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তান সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযানে যুবরাজ নিহত হন।
মামলায় বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে মো. ফয়সাল জানান, মামলার আসামি আল ইমরান ওরফে ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার বাংলাদেশি যুবকদের টিটিপির হয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ ও সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন। ইমরান বর্তমানে টিটিপির হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইমরান নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। তাছাড়া ফয়সাল জানিয়েছে তার কয়েকজন বন্ধু রেজাউল করিম আবরার, আসিফ আদনান, জাকারিয়া মাসুদ, সানাফ হাসানসহ আরো কয়েকজন সহযোগী ধর্মীয় উগ্রবাদে দীক্ষিত হয়ে জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।