সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
নানা আয়োজনে কুষ্টিয়ায় মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক চত্বরে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যে ও শহিদ বেদীতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামরে নেৃতত্বে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১৪৭ জন সেনাবাহিনী স্বশস্ত্র অবস্থায় কুষ্টিয়ায় এসে অবস্থান গ্রহণ করে এবং ওই রাতেই সারা শহরে সান্ধ্য আইনজারী করা হয়। ২৬ মার্চ সান্ধ্য আইন ভেঙ্গে ঘর থেকে খাবার কিনতে বের হওয়ায় ৪ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ২৭ মার্চ সেনাবাহিনীর উপর হামলার চেষ্টাকালে একজন ছাত্র শহিদ হন। এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে উঠে। তারা পাাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বংশীতলা, আড়পাড়া, ধলনগর, ব্যাঙগাড়ী ও ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে পরদিন ভোররাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথভাবে পাকিস্তান সেনাদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এ যুদ্ধে পাকসেনা ৩০ জন, মিত্রবাহিনীর ৭০ জন এবং মুক্তিবাহিনী ৭ জন নিহত হন। তাদের অনেকের লাশ আজও ফিরে পায়নি স্বজনেরা। এ যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী পরাজিত হয়ে পিছু হটতে থাকে। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া শত্রু মুক্ত হয়। উড়ানো হয় বিজয় পতাকা।