বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সালাহ উদ্দীন এক দিনে ৫১ মামলার রায় দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন।
মঙ্গলবার, প্রতারনা,চুরি, যৌতুকের দাবি ও মারামারি সংক্রান্ত মামলায় রায় দেন তিনি। তবে ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল লতিফ।
তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। একসঙ্গে এতগুলো মামলার রায় তিনি দিতে পারেন না। কীভাবে এতগুলো মামলার রায় দেবেন তিনি? সাক্ষীর ব্যাপার রয়েছে। অবশ্যই যোগাযোগের মাধ্যমে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
আব্দুল লতিফ আরও বলেন, ইতোমধ্যে একজন আইন কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য নিয়োগ করে দিয়েছি। এ ছাড়া আগামীকাল ঘটনাটি জেলা জজের দৃষ্টিতে আনা হবে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা জানান, পেশাগত জীবনে একসঙ্গে ৫১ মামলার রায় ঘোষণা করার কথা আগে কখনো শোনেননি তারা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবী বলেন, একসঙ্গে এতগুলো মামলার রায় ঘোষণা সাতক্ষীরায় নজিরবিহীন। একদিক দিয়ে এটা ভালো।
তবে কোনো কোনো মামলায় বিচারপ্রার্থীরা আশা করেছিলেন আসামিদের সাজা হবে। তবে তিনি সেই সব আসামিদের খালাস দিয়ে দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. সালাহ উদ্দিনের আদালতে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রাখা হয় ৫৭টি মামলা।
প্রতারণা, চুরি, যৌতুক দাবি ও মারামারির এসব মামলার মধ্যে ৫১টি মামলায় রায় ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্যে ৮টি মামলায় ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।
অন্য ৪৩টি মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সাবরিনা খাতুন, একই উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের হামিদা খাতুন, পাটকেল ঘাটার নূর ইসলাম, একই থানার ফারুবা মুন্সি, পুরাতন সাতক্ষীরার আবু শাহীন শাহজাহান সরদার, বরিশালের মুলাদী উপজেলার আলিমাবাদের সরোয়ার হোসেন, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার অহিদুজ্জামান ও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার পরানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখ।