বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

নতুন ঘরে উঠলো ১৭ বছর গর্তে বসবাস করা সেই দম্পতি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাটির গর্তে ১৭ বছর ধরে বসবাস করা রুহুল আমিন ও রেহেনা খাতুন দম্পতি পেল নতুন ঘর। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ হিউম্যান লাইফের উদ্যোগে টিনশেডের তৈরি ঘরটি হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ হিউম্যান লাইফের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল্লাহ আল হেলাল, সেফ হিউম্যান লাইফের রাজশাহী বিভাগীয় প্রকল্প সমন্বয়ক মো. আব্দুল কাদের বিপ্লব, সিরাজগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মো. উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।

রুহুল আমিনের বাড়ি উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া গ্রামের সরদার পাড়ায়। সেখানে ২৫ বছর সংসারে একটি ঘর তুলতে না পেরে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে সেই গর্তের মধ্যে ঘর বানিয়ে পরিবার নিয়ে প্রায় ১৭ বছর ধরে বসবাস করছিলেন তিনি। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন তারা।

নতুন ঘর পেয়ে মহা খুশি রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পতি। তারা বলেন, বহু কষ্টের পর আল্লাহ আমাদের দুঃখের অবসান ঘটালেন। এর আগে ঘর না থাকার কারণে শীত, ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব নীরবে সইতে হয়েছে।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দম্পত্তির হাতে ৪০ হাজার টাকা ও পাঁচটি কম্বল তুলে দেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেন, গৃহহীন রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পতি মানবেতর জীবনযাপন করছিল। সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। তারপর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২০ হাজার টাকা ও তাড়াশ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ হিউম্যান লাইফের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল্লাহ আল হেলাল বলেন, ১৭ বছর ধরে মাটির গর্তে বসবাস। বিষয়টা কষ্টদায়ক। আমাদের নজরে আসার পর আমরা সরেজমিনে তদন্ত করি। এরপর গৃহহীন রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পতির জন্য একটি টিনের ঘরের ব্যবস্থা করি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বলেন, গৃহহীন রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পতির করুণ জীবন কাহিনির বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন বিভাগ জানে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ থেকে অসহায় পরিবারটির জন্য সহায়তার কথা ভাবা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।