বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

একদিনে কোটি ডোজ প্রয়োগে চলছে গণটিকাদান

কুষ্টিয়া পোস্ট ডেস্কঃ

দেশজুড়ে গণটিকাদানের মাধ্যমে একদিনেই দেয়া হবে কোটি ডোজ করোনার টিকা। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে টিকাদানের কাজ শুরু হয়েছে। যা চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দেশের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে শুরুর আগেই দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ এই কর্মসূচিতে দেয়া হচ্ছে টিকার প্রথম ডোজ।

রাজধানীর বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে। মিরপুরের এক কেন্দ্রে টিকা দিতে এসেছেন স্থানীয় গৃহিণী রোমানা আক্তার।

তিনি বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন এমন কোনো প্রমাণপত্র নেই তার কাছে। এ কারণে এতদিন সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করাতে পারেনি। ভোটার আইডি নেই, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা নেই। তাই এতদিন টিকা নিতে পারিনি। এখন জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড লাগবে না, তাই টিকা নিতে এসেছি।

এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় টিকা কেন্দ্রে আসা কামরান জানান, আমার জন্মনিবন্ধনে ভুল থাকায় নিবন্ধন করাতে পারিনি, এতদিন টিকাও নিতে পারিনি। এজন্য আজ টিকা নিতে এসেছি।

আজ টিকা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্র লাগবে না। জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এমন ব্যক্তিরাও নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

সারা দেশে ২৮ হাজার বুথে টিকা দেয়া হবে আজ। এসব বুথে টিকা দেয়ার কাজে যুক্ত থাকবেন স্থাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকেরাসহ মোট ১ লাখ ৪২ হাজার জন। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের বাইরেও পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল (তাঁরাও টিকা দেবেন) থাকবে।

এছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে ৩০ থেকে ৫০টি করে বুথে টিকা দেয়া হবে। লোকজনকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে গত কয়েক দিন মাইকিং, গণবিজ্ঞপ্তিসহ বিশেষ প্রচার চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন’পরিচালনা করা হবে বলে জানান।

অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানায়, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। তাদেরকে একটি করে কার্ড দেয়া হবে। সেটিই হবে টিকা নেয়ার প্রমাণ। এসব কিছুর প্রস্তুতি এবং নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দেশের সব সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।

২৬ ফেব্রুয়ারির কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ১ কোটি টিকা দেয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে দল থাকবে। এদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটি ও প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে যেন তারা গিয়ে টিকা দিয়ে আসতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।