বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

ফেসবুকে প্রেম, ইন্দোনেশিয়া থেকে লক্ষ্মীপুরে তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রেমের টানে সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছুটে এসেছেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামের এক তরুণী।

সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে তিনি ঢাকায় আসেন। রায়পুরের রাসেল আহমেদকে বিয়ে করবেন ফানিয়া।

প্রেমিক রাসেল আহমেদ রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাখালিয়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ও পেশায় একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। বর্তমানে রাখালিয়া গ্রামে অবস্থান করছেন ফানিয়া।

ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপির মেয়ে। তিনি সেখানকার একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাসেল আহমেদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, চার বছর আগে ফেসবুকে ফানিয়ার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়।

এরপর থেকে তাদের প্রতিদিনই কথা হতো। ভিডিও কলে দুজনের দেখা হতো প্রতিদিন। সম্প্রতি তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য ফানিয়া বাংলাদেশে এসেছেন।

গ্রামের বাড়িতে আসার পর থেকে আশপাশের লোকজন তাকে দেখার জন্য ভিড় করছেন।

রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিয়ে করবো। ফানিয়াকে নিয়ে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটি সময়ের ব্যাপার।

কারণ ফানিয়া এখন দু’মাসের জন্য এসেছে। তাকে আবার ইন্দোনেশিয়া চলে যেতে হবে। পরবর্তী সময়ে তাকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থাকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফানিয়া বলেন, ‘রাসেলকে আমি অনেক ভালোবাসি। তাকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থাকবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তবে আপাতত আমাকে আবার দেশে ফিরে যেতে হবে। মা-বাবাকে বিয়ের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও সম্মতি দিয়েছেন।’

বাংলাদেশের মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ বলে মন্তব্য করেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ফানিয়া। বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন বলেও জানান।

ফানিয়া বলেন, ‘এখানকার সবাই খুব মিশুক। আমার দারুণ সময় কাটছে। আমি বাংলা ভাষা বুঝতে পারি। তবে অল্প কিছু শব্দ বলতে পারি। ধীরে ধীরে বাংলা ভাষা আয়ত্ত করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবো।’

রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম বলেন, ‘মেয়েটি খুব মিশুক। রাসেলকে ভালোবেসে সে অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছে। সত্যিই এটি অবাক করা ঘটনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখান আসার পর থেকেই মেয়েটি আমাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মতো মিশে গেছে। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলে নিজেকে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।