শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

কালবৈশাখীর পর শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
কালবৈশাখী ঝড়ে নাটোরের সিংড়ায় প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির উঠতি বোরো ধানগাছ নুইয়ে পড়েছে। এতে ফলন কমসহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ ছাড়া ধানকাটা শ্রমিক সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। নুইয়ে পড়া ধান কাটতে বেশি মজুরি চাচ্ছেন শ্রমিকরা।

তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ উপজেলায় রোপণকৃত বোরো ধানের ৫০ শতাংশ জমির ধান নুইয়ে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে। আর এসব পড়ে যাওয়া ধান কর্তনে বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হবে বলে জানান কৃষকরা।

বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোর রাতের দিকে প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ইটালি, ডাহিয়া, চৌগ্রামসহ উপজেলা প্রায় ১২টি ইউনিয়নে রোপণকৃত ৫০ ভাগ জমির ধান জমিতে মিশে যায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলনবিল-অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৩৬ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। অধিকাংশ জমির ধান পরিপক্ব হওয়ায় ইতোমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। তবে বুধবার ভোর রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে মিনিকেটসহ উঠতি বোরো ধান নুইয়ে পড়েছে।

ইটালী ইউনিয়নের মানিকদিঘী গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানান, তিনি এবার ২২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ে সব ধান নুইয়ে পড়েছে। সুকাস ইউনিয়নের মৌগ্রামের জামাল উদ্দিনের ১০ বিঘা জমির সব ধান জমিতে মিশে গেছে। কদিন পর ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এখন ওই ধান কাটারও মানুষ মিলছে না।

চৌগ্রাম ইউনিয়নের চৌগ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি ৬০ বিঘা জমিতে মিনিকেট ধান লাগিয়েছিলেন। কালবৈশাখী ঝড়ে সব হেলে পড়েছে। ৩ হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে ধান কাটার শ্রমিকও ঠিক করেছিলেন। এখন তারা নিচে থাকা ধান আগের মজুরিতে কাটতে চাচ্ছেন না। দ্বিগুণ টাকা দিয়েও তারা এসব ধান কাটতে রাজি হচ্ছে না। আরও বেশি টাকা চাচ্ছে।

তিরাইল গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার রোপণ করা ২২ বিঘা জমির বোরো ধান কালবৈশাখী ঝড়ে জমিতে শুয়ে পড়েছে। এখন শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া আকাশের আচরণও ভালো ঠেকছে না। আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয় দফা ঝড়-বৃষ্টি হলে হেলে পড়া ধানের সব ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। পুনরায় বৃষ্টিপাত হলে আরও বেশি ক্ষতি হবে। এবার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। ধানের ফলনও কম হবে।

সিংড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, উপজেলায় আবাদ করা বোরো ধানের প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ জমির কর্তন উপযোগী মিনিকেট ও বোরো ধান ঝড়ে নুইয়ে পড়েছে। পুনরায় ঝড়-বৃষ্টি না হলে তেমন ক্ষতি হবে না। এসব পড়া ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এসব ধান কাটতে বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।