বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

কুয়াকাটাকে পর্যটকবান্ধব করতে মাস্টারপ্ল্যান

কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ

আলো জ্বলে উঠেছে, সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন। শুধু প্রহর গোনার পালা। এপার থেকে ওপারে পর্যটনে যাবার, যাত্রাপথের সব অসুবিধাকে পেছনে ফেলে।

আগামী ২৫ জুন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালু হলে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় পর্যটকের আনাগোনা বেড়ে যাবে আগের চেয়েও কয়েকগুণ।

অথচ আগে সড়কপথে কুয়াকাটা যাওয়া? ভাবুন তো?পদ্মা সেতুর কল্যাণে যাত্রাপথ উন্নত হয়ে যাওয়ার পাশাপাশিকুয়াকাটাকে পর্যটক বান্ধব করার জন্য ঢেলে সাজানোর মহাপরিকল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) হাতে নিয়েছে সরকার।

১৪ জুন, মঙ্গলবার সকালে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সভাকক্ষে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও নগর উন্নয়ন অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে কুয়াকাটা ট্যুরিজম সেন্টার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা জানান।

বক্তারা বলেন, পর্যটকদের আরও আকর্ষণীয় করতে সী বীচ এলাকার পাশাপাশি টুরিস্ট স্পট বাড়ানো, স্থানীয় ঐতিহ্য সংস্কৃতি প্রচার, মানসম্মত খাবার আর হোটেল মোটেলের সেবা নিশ্চিত সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সমন্বিত উদ্যোগে এসব বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটা হবে পর্যটক বান্ধব একটি পর্যটন কেন্দ্র।

বরিশাল নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটায় পর্যটকদের আকর্ষণীয় করতে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনায় আওতায় সী-বীচ রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সড়কের প্রশস্থকরণ, ড্রেনেজ ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা,টুরিস্ট স্পট বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা, মানসম্মত খাবার,হোটেল মোটেলের সেবা নিশ্চিত সহ বিনোদনে স্থানীয় সংস্কৃতিতে আরও বিকশিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর বাইরেও গলফ কোর্স, টেনিস কোর্ট,স্টেডিয়াম, মেরিন পার্ক, সী অ্যাকোরিয়াম,জাদুঘর, কটেজ অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম, অ্যাক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, মেরিন ড্রাইভ,জেনারেল ট্যুরিস্ট জোন, ওয়াচ টাওয়ার, ইকোপার্ক, ফরেস্ট, পিকনিক স্পষ্ট, নিজস্ব পণ্যের ব্রান্ড, রাখাইন মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী আসাদুজ্জামান বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা করার পাশাপাশি তদারকি করা নগর উন্নয়নের কাজ।

কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণীর৷ তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখার একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে কুয়াকাটা। আর পদ্মা সেতু পুরোপুরি চালু হলেরাজধানী ঢাকাসহ দেশ-বিদেশি পর্যটকদের চাপ বাড়বে এখানে। তাই স্থানীয় বিশাল জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে কুয়াকাটাকে আরওপর্যটকমুখী করার জন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

পরিবেশবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা করে কুয়াকাটায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে হবে। আশেপাশের খালগুলোকেও ট্যুরিস্টের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ বাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হবে । সেই লক্ষে কুয়াকাটাকে পর্যটক বান্ধব করার জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ করা হবে। এই মহাপরিকল্পনা সমন্বিত উদ্যোগে বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটা হবে বাংলাদেশের মধ্যে আরেকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।

তাহলে খুব শীঘ্রই কুয়াকাটা সমুদ্রসৌকতহয়ে উঠছে আরো আকর্ষণীয় ও পর্যটকবান্ধব। আপনিও প্রস্তুত হয়ে যান আগামী ছুটিটি কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে কাটানোর জন্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।