বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

কুষ্টিয়া পোস্ট ডেস্কঃ

সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জুন) সুরমা নদী উপচে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া কুশিয়ারা, লোভাছড়া, সারিসহ ছোট-বড় সবকটি নদীর পানি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।

এতে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, অন্যদিকে ঘরে মজুত করা খাবারও শেষ হয়ে গেছে। বন্যাদুর্গত মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানির সিলেট (নগরী) পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘন্টায় নগরীতে ৪৫ মিলিমিটার ও কানাইঘাটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিকে কুশিয়ারা নদী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ও সারিঘাটে সারি নদী বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে।

ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আগামী ১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিলেটে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলা হয়েছে।

সিলেটে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৭ থেকে ১৯ জুন ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া বাকি দিনগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, এক মাসের মধ্যে নগরীর অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

ইতিমধ্যে নগরীর উপশহর, মেন্দিবাগ, ছড়ারপার, মাছিমপুর, কালিঘাট, শেখঘাট, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, তোপখানা, ঝালোপাড়া, তেররতনসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠেছে।

অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৫০০ গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

এসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি অফিসের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত জানান, স্থানীয় প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতির দিকে সার্বিক নজরদারি রাখছেন।

প্রয়োজনীয় স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।