বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

বন্যার এমন ভয়াবহতা আগে কখনো দেখেনি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

একদিনের মধ্যেই পানি বেড়ে বাসা-বাড়ি ভাসিয়ে নেয় বন্যার পানি। বন্যার এমন ভয়াবহ রূপ আগে কখনো দেখেনি সিলেটের মানুষ। বন্যার এমন আকস্মিক বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার লাখ লাখ মানুষ।

ভয়াবহ বন্যার শিকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েও জায়গা পাচ্ছেন না। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন সিলেটের বানভাসি মানুষ।

এছাড়া জেলার কৃষকরা তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা মানবিক সংকট মোকাবিলায় সবাইকে সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। টেলিফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা এড়াতে সিলেট নগরের কিছু উঁচু অংশ ছাড়া পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। বলা যায় সিলেট বিভাগ কার্যত সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শুধু সিলেট নগর নয়, সিলেটজুড়েই দ্রুত পানি বাড়ছে। জেলার বেশিরভাগ এলাকায়ই পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুর থেকে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

কোনো কোনো জায়গায় বিজিবি সদস্যরাও বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার (১৫ জুন) থেকে সিলেটের নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতের মধ্যেই সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে।

গত ১৫ মে এ বর্ষায় প্রথম দফায় বন্যা হয় সিলেটে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে, মে মাসের বন্যায় গত ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি হয় সিলেটে। তবে চলমান বন্যা গত মাসের রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।

কোম্পানীগঞ্জের ১ নম্বর ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, কোম্পানীগঞ্জ সদরসহ উপজেলার সবগুলো এলাকা এখন পানির নিচে।

এ অবস্থায় পানিবন্দি লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। উদ্ধার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই।

এছাড়া জেলার দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক উপচে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-ছাতক রেললাইনের বিশ্বনাথ অংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। এ কারণে ওই রুটে ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে গত তিন দিনে সিলেটের উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর এ কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে সিলেটে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, আগামী তিন দিন উজানে ভারতীয় অংশে ও বাংলাদেশ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।