মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪১ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধিঃ
টানা বৃষ্টিপাত আর উজানি ঢলে ইতোমধ্যেই সিলেটের সব কটি অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত। মানুষ ঘর ছেড়ে উঠেছে নিরাপদ আশ্রয়ে। পানিবন্দি থেকে জীবনযাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
সরেজমিনে রবিবার (১৯ জুন) দেখা যায়, রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সকাল থেকে সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। কিছু জায়গায় পানি ২ থেকে ৩ ইঞ্চি কমেছে, আবার কোথাও ১ থেকে দেড় ফুট কমেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী সোম ও মঙ্গলবার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতির দিকে যাবে।
রবিবার সিলেটের বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি কিছুটা নেমে গেছে। নিচতলা থেকে পানি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে। ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনরা। তবে আজ ভারী বৃষ্টিপাত হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানিয়েছেন, সিলেট সদরের দিকে নদীর পানি কিছুটা কমলেও উজানে পানির উচ্চতা বেড়েছে। এই পানি বিকেল নাগাদ ভাটিতে নেমে আসলে এদিকেও পানি বাড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, রবিবার সকাল ৯টায় সিলেট জেলায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা শনিবারের (১৮ জুন) চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি। তবে সিলেট শহর পয়েন্টে এ নদীর পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকালের চেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার কম।
এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলশীদে বিপদসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এখন। শরিবারের চেয়ে যা ৬৩ সেন্টিমিটার বেশি। একই নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপরে আছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কমায় নদীর পানিও কিছুটা কমেছে। বন্যার পানিও কিছুটা কমেছে বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু গেজ স্টেশনে (পানির উচ্চতা পরিমাপের জায়গা) অনেক পানি থাকায় সেখানে গিয়ে পানির উচ্চতা জেনে আসাটা কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তাই তথ্য সংগ্রহে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।