বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

পদ্মায় ভাঙন, বাড়ছে পানি

পাবনা প্রতিনিধি

শুরু হয়েছে পদ্মায় ভাঙন। একইসঙ্গে বাড়ছে পানি। পাবনার ঈশ্বরদীতে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ।

প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পানি বাড়ায় নদীর চরাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে।

উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে ভাঙনের আতঙ্ক বাড়ছে।

নদী ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে সাঁড়ার লালনশাহ সেতু রক্ষাবাঁধ ও নদীর বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধটি। সাঁড়ার থানাপাড়া ও ব্লকপাড়ায় বাঁধের সামনের জমি ভাঙতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যে বাঁধের সামনের ১০ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।

সাঁড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া ব্লকপাড়া গ্রামের হযরত আলী জানান, সাঁড়ার এই নদীর পাড়ে কয়েক মাস পূর্বে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এবার আবারও নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাধের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে নদীরক্ষা বাঁধেও ভাঙন দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমরা আতঙ্কে আছি।

সাঁড়ার থানাপাড়া এলাকার আঞ্জুয়ারা বেগম আঞ্জু বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি দেখে আমাদের মনে আতংক দেখা দিয়েছে। এমনতিই নদীতে আমাদের বসতবাড়ি-জমিজমা হারিয়েছি।

এখন বাঁধের পাশে রেলের পরিত্যক্ত জায়গায় বাড়ি করে আছি। বাঁধের সামনে জমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীকে তো বিশ্বাস করা যায় না। যদি তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে যায় তাহলেতো আমাদের বাড়ি-ঘরও ভেঙ্গে যাবে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড পাকশী হার্ডিঞ্জব্রীজ পয়েন্টের গ্রেজ রিডার আরিফুন নাঈন ইবনে সালাম জানান, মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুর ১২টায় পাকশী হার্ডিঞ্জব্রীজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৯.৪০ মিটার।

এ পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৪.২৫ মিটার। এখনো বিপদসীমার প্রায় ৫ মিটার নিচে রয়েছে পানি প্রবাহ।

তিনি জানান, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবার পানি বেড়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার।

সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, সাঁড়ার ব্লকপাড়া ও থানাপাড়ায় এর আগে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় তিনদফায় জিও প্যাক ডাম্পিং করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে ফোন দিয়ে নদী এলাকার খোঁজখবর রাখতে বলেছেন। আমি সরেজমিনে নিজে নদী এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং এলাকার বাসিন্দাদের এ ব্যাপারে জানিয়েছি।

কোন সমস্যা দেখা দিয়ে তারা যেন আমাকে দ্রুত জানায়। আমাদের কৃষকরা প্রতিদিনই খুঁটি দিয়ে পানি পরিমাপ করে থাকেন।

সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবার প্রায় ২০ ইঞ্চি পানি বেড়েছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিলে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমি সরেজমিনে সাঁড়া ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানে জিও প্যাক ডাম্পিং করে ভাঙন রোধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমি সরেজমিনে সাঁড়া ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানে জিও প্যাক ডাম্পিং করে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। আবারও ভাঙন দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।