বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কৃষকরা পানির অভাবে পাট নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না, প্রচন্ড রোদে ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাটা পাট রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়ায় উপায় না পেয়ে অপরিষ্কার অল্প পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। আর এতে পানি কালো হয়ে যাওয়ায় পাটের দাম নিয়ে শংকায় রয়েছেন তারা।
সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের কৃষক রাজু শেখ বলেন, আমি এক একর জমিতে পাটের চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পাট কেটে এখন বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে পাট পঁচানোর জায়গা নেই। তাই সড়কের পাশে ফেলে রেখেছি।
কালিয়া উপজেলার চোরখালি গ্রামের জিহাদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছরগুলোতে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রচুর বৃষ্টি হলেও এ বছর বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। প্রচন্ড রোদে কাটা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে।
লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামের ইমরুল সিকদার বলেন, এ বছর আমি কয়েক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আমার পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু, খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছি না। উপজেলার অধিকাংশ পাট চাষিদের একই অবস্থা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের সদর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে এবং আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৯০৩ বেল পাট।
জানা যায়, জেলার লোহাগড়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে এবং সেখানে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৫ হেক্টর। এছাড়া, জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ বেল পাট।
এদিকে, কালিয়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে এবং আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর। আর আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২৫ বেল পাট।
কৃষিস্প্রসারণ অধিদফতরের নড়াইল উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, এ বছর পাট নিয়ে কৃষকরা মহা বিপদে আছেন। পাট কেটেই জমিতে আমনের চাষ করা হয়। তাই সময়মতো পাট কাটতে না পারলে আমন চাষ ব্যাহত হতে পারে।