বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

স্বামী-স্ত্রীকে টয়লেটে অবরুদ্ধ করে রাখেন চেয়ারম্যান!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে সদরে একটি ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেটে স্বামী-স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

লোকলজ্জার ভয়ে টয়লেটের ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মো. আমজাদ হোসেন। স্বামীকে বাঁচাতে টয়লেটের ভেতর থেকে চিৎকার দিতে থাকেন জেসমিন আক্তার। পরে আমজাদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আমজাদের মা আয়েশা খাতুন ও মেয়ে লিপি আক্তার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান তাদের দুইজনকে পরিষদে তলব করেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই দম্পতি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় আসেন। পরে দুপুর ২টার দিকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ তাদের পরিষদের টয়লেটের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

টয়লেটের ভিতরে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে গলায় পেছিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আমজাদ হোসেন। পরে তাদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী-স্ত্রী জানান, আমাদের বিরুদ্ধে দাদি-নাতনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে চেয়ারম্যানের কাছে। চেয়ারম্যান তাদের কথা শুনছে। আমাদের কোনো কথা না শুনে আমাদের টয়লেটে অবরুদ্ধ করে রাখে।

তাই এ লজ্জা কোথায় রাখবো? নিজেকে শেষ করে দিবো। ১১ বছর প্রবাসে ছিলাম। সব টাকা মার একাউন্টে পাঠালাম। আজ তার এই পরিনতি।

এ বিষয় জানতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, স্বামী-স্ত্রীকে টয়লেটে আটকিয়ে রাখা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে দাদি-নাতনি অভিযোগ দিয়েছে তারা (স্বামী-স্ত্রী) ওদের মারধর ও নির্যাতন করে। ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশ দিবো বলছি। এ ঘটনা শুনে আমজাদ অভিনয় করে জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতাল গিয়ে ভর্তি হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ.কে.আজাদ বলেন, আমজাদ নামে এক ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থা হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মমিনুল হক মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয় কেউ পুলিশকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যানকে ডাকা হবে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।