বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:০২ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

লামায় শিক্ষকের বসতভিটার ঘেরাবেড়া উপড়ে ফেলে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবান জেলার লামা পৌরসভা এলাকায় এক শিক্ষকের বসতভিটা সীমানার ঘেরাবেড়া উপড়ে ফেলে ও ১২টি গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, এ সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার বাদী হয়ে লামামুখ গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুল গফুরের দুুই ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩০) ও শফিকুল ইসলামকে (২৮) অভিযুক্ত করে বুধবার দিনগত রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের চিংকুমঝিরি পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার ২০০৮ সালে জনৈক রমজান আলীর কাছ থেকে উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার ২৫নং খতিয়ান মূলে লামামুখ এলাকাস্থ ১৫ শতক জায়গা কিনে সেখানে ফলজ বনজ ও পাকা বসতঘর নির্মাণ করে ভোগ করে আসছেন।

সম্প্রতি প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম অকারণে শিক্ষক ও শিক্ষকের স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে খারাপ ভাষায় গালমন্দ ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছেন।

এ ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রফিকুল ইসলাম গং সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষকের রোপিত জায়গার সীমানার ঘেরাবেড়া উপড়ে ১০টি সুপারি গাছ ও ২টি আমগাছ কেটে নিয়ে যায়।

এ সময় প্রতিবাদ করলে রফিকুল ইসলাম গং প্রাণ নাশের প্রচেষ্টা চালালে আত্নরক্ষায় ঘরে ঢুকে পড়েন শিক্ষকের স্ত্রী শুক্লা মল্লিক।

প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ঘটনার সময় আমি ব্যক্তিগত কাজে চকরিয়া ছিলাম। এই সুযোগে রফিকুল ইসলাম গং আমার সীমানার গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি চকরিয়া থেকে ফিরে বুধবার দিনগত রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করি।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে রফিকুল ইসলাম রাস্তা করে দিবে বলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয় রফিকুল ইসলাম। মূলত এ কারণেই তারা আমার গাছগুলো কেটে নেয়।

এদিকে রফিকুল ইসলাম গংদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকির কারণে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্ত্রী শুক্লা মজুমদার। তিনি বলেন, রফিকুল ইসলামরা যে কোনো মুহুর্তে আমাদের বাড়িঘর দখল ও প্রাণ নাশ করতে পারে।

রফিকুল ইসলাম কর্তৃক শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদারের সীমানা গাছ ও ঘেরাবেড়া কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছেন বলে জানান, পৌরসভার কাউন্সিলর মমতাজুল ইসলাম।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদারের সীমানার গাছ কেটে নেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা, বরং তিনি নিজের জায়গার সীমানা অতিক্রম করে আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন।

এছাড়া তাকে প্রাণ নাশের হুমকির বিষয়টি মোটেও সত্য নয়, এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদারকে আমরা বড় ভাইয়ের মত সম্মান করি।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের এ.এস.আই মো. জহিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদারের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।