বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের চলাচল। উপজেলার পত্তাশী ও ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের মাঝ পথে ঘোষেরহাট পত্তাশী সড়কের খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন খালের উপর এলজিইডি নির্মিত সেতুর এ করুণ দশা।
ওই সড়কের প্রায় দশ কিলোমিটার পাকা। এর মধ্যে অবস্থিত ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি।
দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ওই সেতুটির স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়রা আবারও তাতে কাঠ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে পারাপার হচ্ছে। কিন্তু তারপরও সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসীসহ স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। সেতুটির পশ্চিম প্রান্তে খেজুরতলা বাজার, পত্তাশী এস দাখিল মাদ্রাসা, খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, হেফজ মাদ্রাসা রয়েছে। পূর্ব প্রান্তে ঘোষেরহাট বাজার।
এই সড়ক দিয়ে পত্তাশী এলাকা, রামচন্দ্রপুর গ্রাম, ভবানীপুর গ্রাম, চরনীপত্তাশী গ্রাম, হোগলবুনিয়া গ্রামসহ আশেপাশের হাজারো বাসিন্দা প্রতিদিন যাতায়াত করছে। সেতুটির স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়কে ভ্যান গাড়ি, রিকশা, ইজিবাইক চালিয়ে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু সেতুর জড়াজীর্ণ অবস্থার কারণে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। কমছে তাদের আয়ের পথ।
বর্তমান বর্ষা মৌসুমে ভাঙা সেতু দিয়ে স্কুল, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণের পারপারে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মাঝে বৃদ্ধ ও শিশুরা সেতু পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শিকার হয়। সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও এ দিকে কর্তৃপক্ষের নজর নাই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. জাকারিয়া হোসেন জানায়, প্রতিদিন ওই ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। মাসখানেক আগে সেতু পার হতে গিয়ে পায়ে আঘাত পাই। এতে কয়েকদিন স্কুলে যেতে পারিনি।
খেজুরতরা বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল তালুকদার জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় থাকায় মালামাল পরিবহনে খরচও বেশি লাগে। তেমনি সরাসরি বাজারে মালামাল আনা যাচ্ছে না। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ প্রয়োজন।
স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জুবায়ের তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় সরকারিভাবে এটি নির্মাণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। নিজেরা সংস্কার করে জোড়াতালি দিয়ে পারাপার চলছে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানান, সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ। একাধিক প্রকল্পে সেতুটির প্রাক্কলণ দেয়া আছে। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় সেতুটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না।