শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

প্রেমের টানে জয়পুরহাটের মেয়েকে বিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কান যুবক

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জর্ডানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন জয়পুরহাটের এক নারী। ওই কোম্পানির সুপাইভাইজার পদে ছিলেন শ্রীলঙ্কান এক যুবক। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। এরপর প্রেম। দেড় বছর আগে ওই যুবক তার নিজ দেশে ফিরে যান। সম্প্রতি তিনি শ্রীলঙ্কা থেকে জয়পুরহাটে এসেছেন। বিয়েও করেছেন ওই নারীকে।

ওই নারীর নাম মোছা. রাহেনা বেগম (৩২)। আর যুবকের নাম রোশান মিঠুন (৩৩)। রাহেনার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের উত্তর পাথুরিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম শাহাদুল ইসলাম।

রাহেনা বেগম বলেন, কম বয়সে আমার বিয়ে হয়। সেখানে একটি বাচ্চাও আছে। এরই মধ্যে ২০১৪ সালে জর্ডানে কাজ করতে যাই। সেখানে থাকতেই স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেয়। পরে আমার ওই কোম্পানিতে সুপাইভাজার পদে চাকরি করতেন রোশান। তার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছর আগে রোশান তার নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় চলে যায়। আর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি বাংলাদেশে চলে আসি।

এর মধ্যে মোবাইলে আমাদের কথা হতো। তার পরিবারের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। সম্প্রতি রোশান ঢাকা বিমানবন্দরে আসলে আমি তাকে জয়পুরহাটের বাড়িতে নিয়ে আসি এবং ২২ সেপ্টেম্বর বিয়ে করি। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অ্যাফিডেভিট করা হয়।

রাহেনা বলেন, রোশানের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন। আমার পরিবারও খুশি। রোশান অল্প অল্প বাংলা বলতে পারে। এতে আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে তার তেমন সমস্যা হচ্ছে না। এখন দেশেই থাকব, নাকি রোশানের সঙ্গে তার দেশে যাব এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে রোশান মিঠুন বলেন, ‘মেয়ের পরিবার পছন্দ হয়েছে। তারা সকলেই অনেক ভালো। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি। এখানেই থাকতে চাই। আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি।’

রাহেনার বাবা শাহাদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে জর্ডানে ছিল। ওই ছেলেও জর্ডানে ছিল। তার বাড়ি শ্রীলঙ্কায়। সেখানে তাদের মধ্যে কিছু কথা হয়। পরে ছেলে তার নিজ দেশে চলে যায়, এরপর আমার মেয়ে বেশ কিছু দিন থাকার পর বাড়িতে চলে আসে। এরই মধ্যে তারা দুজন মোবাইলে কথা বলে। ছেলে তখন কল করে বাংলাদেশে চলে আসে। 

তিনি বলেন, ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমরা তাদের বিয়ে দেই। এখন পর্যন্ত জামাই-মেয়ে ভালো আছে। আমি তাদের দোয়া করি। ছেলে বাংলাদেশে থাকলে আমি বাড়ি করবার জায়গা দেব, আর তারা ওই দেশে ঘুরতে যেতে চাইলে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।