বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

এবার ‘মাচাং ঘর’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

কুষ্টিয়া পোস্ট ডেস্ক

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এবার স্থানীয় চাহিদায় মাচাং ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতির পর দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এর নির্মাণ কাজ।

আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে বান্দরবানে ২৩০টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। অধিবাসীদের প্রচলিত পদ্ধতির এসব ঘরগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আনন্দে মাথাগোজার ঠাঁই হবে।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের অধিবাসীরা ১১টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। তাদের খাদ্য, পোশাক ও জীবন প্রণালীতেও রয়েছে ভিন্নতা। এরপরও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মাঝে একটি বিষয়ে খুবই মিল, তা হলো তাদের তৈরি মাচাং ঘর।

যদিও আধুনিক আবাসনের কারণে মাচাং ঘরগুলো কমতে শুরু করেছে পাহাড়ে। এমন অবস্থায় স্থানীয় চাহিদার আলোকে মাচাং ঘর নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

যেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতিতে বর্তমানে সাত উপজেলায় প্রচলিত পদ্ধতিতে ২৩০টি ঘর নির্মিত হচ্ছে।

মাচাং ঘর পাওয়া রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের উপকারভোগী বাচিং মং, প্রুনুং চিং মার্মা জানান, পাহাড়ী জনগোষ্টীর ঐতিহের‌্য সঙ্গে এখনও টিকে আছে মাচাং ঘর। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের মাচাং ঘর পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত।

স্থানীয় নির্মাণশৈলীর মাচাংঘরগুলো সাধারণত মাটি থেকে ৫-৬ ফুট উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে। ঐতিহ্যের নকশা ঠিক রেখে কাঠ ও লাল টিনে রঙিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে পাহাড়ি পল্লীগুলো।

আদিকাল থেকে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বন্যপশু ও জীবজন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এমন মাচাং ঘরগুলোতে বসবাস করে আসছিল।

দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যের মাচাং ঘর টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগের কথা বলে আসছিল সচেতন পাহাড়িরা।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, স্থানীয় মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এসব মাচাং ঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি পরিদর্শন শেষে মাচাং ঘর নির্মাণের অনুমোদন করেন।

এদিকে, প্রণীত নকশা অনুযায়ী নির্মিত মাচাং ঘরের নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান ও স্পেসিফিকেশন সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে বলে জানান বান্দরবান সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি জানান, প্রশংসনীয় এ কাজে সম্পৃক্ত হতে পেরে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আনন্দিত।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে ইতিমধ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২ হাজার ৯৬৭টি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ৫৯২টি ঘরের কাজ চলমান আছে। যারমধ্যে ২৩০টি নির্মিত হচ্ছে মাচাং ঘর।

প্রতিটি মাচাং ঘর নির্মাণের ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭০ টাকা। সদর উপজেলায় ৯টি, আলীকদমে ১টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৫টি, রোয়াংছড়িতে ৪৫টি, লামায় ১৫টি, রুমায় ১০০টি এবং থানছি উপজেলায় ৪৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।