বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে রমজানের বাজারে তরমুজে ভরে উঠেছে। তবে মৌসুমি এ ফলের দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।।
পৌর শহরের কালিবাড়ি, কোট চত্বর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রিজ, গোধূলি বাজার, মন্দিরপাড়া ও ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠসহ বেশ কিছু এলাকা তরমুজের অস্থায়ী বাজার দেখা যায়।
অতি সম্প্রতি পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বাজারদর ছিল কেজি প্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে এখনও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ বাজারে ওঠেনি। ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রমজানকে লক্ষ্য করে বড় মাপের তরমুজ ঠাকুরগাঁওয়ে এনে বিক্রি করছেন।
এতে করে প্রতিটি তরমুজ ৮ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতি ১৫ কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ফলে ক্রেতারা খুব বেশি তরমুজ কিনছেন না।
জেলার হাজিপাড়া এলাকার আসিয়া বেগম বলেন, তরমুজ কিনতে এসে দাম জেনে চিন্তিত। একটি মাঝারি মানের তরমুজ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তরমুজ কিনবো না, আর কিছুদিন পরে যখন আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ বাজারে উঠবে তখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে হলে কিনব।
কালিবাড়ি বাজার ও ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকজন তরমুজ বিক্রেতা জানান, রোজায় তরমুজের চাহিদা থাকে প্রচুর। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগাম তরমুজ বাজারে আনা হয়েছে। আগাম তরমুজের বর্তমান দাম কিছুটা বেশি। কেজি প্রতি তরমুজ ৩৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেনেছি ফলনও ভালো হয়েছে এবং কৃষকেরা এ বছর ন্যায্য দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।