বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করলেন শিক্ষক, তদন্ত কমিটি গঠন

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক দাবি করেছেন, আগের স্ত্রীর সন্তান না থাকায় তিনি এই বিয়ে করেছেন।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুল করিম। তিনি কালাই উপজেলার মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সন্তান না হওয়ার অজুহাতে পারিবারিকভাবে আব্দুল করিম দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ১০ মাস।

মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এক ছাত্রীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন। ওই ছাত্রীর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকায়। কিন্তু তার বাবা মোলামগাড়িতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে তারা এখানে বসবাস করেন।

তিনি বলেন, বিয়ের বিষয়টি জানার পর গত ১২ জুন ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, স্কুলে আসা নিষিদ্ধ করে তার জবাব চেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পার হয়নি। ১৫ বছর ১০ মাস বয়স হয়েছে। এটি বাল্যবিয়ের মধ্যেও পড়ে। আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশে এটি উল্লেখ করেছি।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক একটি মিটিং ডেকে আমাদের ম্যানুয়াল অনুযায়ী তাকে শোকজ করেছি। 

নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করার কথা স্বীকার করেন শিক্ষক আব্দুল করিম। তিনি বলেন, আমার আগের স্ত্রীর সন্তান নেই। তাই পারিবারিকভাবে গত তিনমাস আগে (ছাত্রীকে) বিয়ে করি।

বাল্যবিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আরও পরে বিয়েটা করা হতো। কিন্তু এখন হয়েই গেছে। প্রতিষ্ঠান থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। আমি ছুটিতে আছি, এজন্য বিদ্যালয়ে যাই না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মো. মনোয়ারুল হাসান বলেন, বিষয়টি আজকেই (শনিবার) জানলাম। আগামীকাল অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।