বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের এমএন প্রেসের ঠাঁই হলো জাদুঘরে

কুমারখালী প্রতিনিধিঃ

গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের আজ ১৯০তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তাঁর ব্যবহৃত ও দেশের প্রথম এমএন ছাপাখানা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ও ঢাকনার কাপড় সরিয়ে উন্মুক্ত ঘোষণা করেন কুষ্টিয়া-০৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ।

জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতী গীতা মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আল মাছুম মুর্শেদ শান্ত, রানা টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা, সাংবাদিক কে এম আর শাহিন প্রমুখ।

গত ১৫ জুলাই বেলা ১১টায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নবনির্মিত বোর্ড সভাকক্ষে এমএন প্রেসটি বাস্তুভিটা থেকে জাদুঘরে হস্তান্তরের জন্য চুক্তিনামা স্বাক্ষর হয়। ২০ লাখ টাকার চেক ও দুইজনের চাকরির বিনিময়ে ছাপাখানা হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন শ্রীমতি গীতা মজুমদার ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

চুক্তিনামা সম্পাদনের তিন দিন পরে প্রেসটি খণ্ড খণ্ড আকারে জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার দেশের গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি ছিলেন প্রজাবান্ধব ও প্রতিবাদী মানুষ। তাঁর ছাপাখানাটি ঐতিহাসিক ও দালিলিক মুদ্রণ যন্ত্র। অনাগত প্রজন্মের কাছে ছাপাখানাটি কুমারখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করবে।

সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার বাংলায় ১৩০৩ (১৮৩৩ ইং) সনের ৫ শ্রাবণ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুণ্ডুপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের সাধারণ মানুষের উন্নতির জন্য এবং তাদের শোষণ-পীড়নের বিরুদ্ধে হরিনাথ সারা জীবন আন্দোলন করেছেন। অত্যাচারিত এবং অসহায় কৃষক সম্প্রদায়কে রক্ষার উদ্দেশে তিনি সাংবাদিকতা পেশা গ্রহণ করেন। 

কাঙ্গাল হরিনাথ প্রথমে সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় লিখতেন। পরে ১৮৬৩ সালে তিনি নিজে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামে মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। পত্রিকাটি পরে পাক্ষিক ও শেষে এক পয়সা মূল্যের সাপ্তাহিকে পরিণত হয়। এতে সাহিত্য, দর্শন ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হলেও কৃষকদের প্রতি তখনকার নীলকর ও জমিদারদের শোষণ-অত্যাচারের কথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হতো।

হরিনাথের জীবনে কখনও সচ্ছলতা ছিল না, কিন্তু তা সত্ত্বেও পত্রিকা প্রকাশের সুবিধার্থে ১৮৭৩ সালে ছাপাখানা স্থাপন করেন। রাজশাহীর রাণী স্বর্ণকুমারী দেবীর অর্থানুকূল্যে দীর্ঘ ১৮ বছর পত্রিকা প্রকাশের পর আর্থিক কারণে এবং সরকারের মুদ্রণ শাসনব্যবস্থার কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।