বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

ওসির ব্যাক্তিগত রোষানল থেকে বাঁচতে ন্যায়বিচারের দাবি

ঢাকা: ফরিদপুরের ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা রাকিবের ব্যাক্তিগত রোষানল থেকে বাঁচতে জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছামাদ খান।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

ছামাদ খান বলেন, আমি একটি পেশায় একজন ঔষধ ব্যবসায়ী এবং আমার একটি রেন্ট এ কারের ব্যবসা আছে। ওসি ডিবি রাকিব ২০১৭ সালে আমার নিজ থানা মধুখালীতে ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন আমার পারিবারিক একটি মামলা হয়, সেই মামলায় ওসি রাকিব নিজে তদন্ত করে এবং আমার নিকট মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। আমি তখন ৩০ হাজার টাকা দেয়, এবং তার চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে সে আমাকে তখন বলেছিল, এর পরিনাম অনেক খারাপ হবে।

তিনি বলেন, ঐ সময়ে আমার একটা মাইক্রোবাস রেন্ট এ কারে ভাড়ায় চলতো। সে আমার তখনকার সেই পারিবিরিক মামলায় আমার মাইক্রোবাসটি একটি মিথ্যা মামলায় জব্দ। পরে আমি কোর্ট থেকে গাড়ি অনেক দিন পরে ছাড়িয়ে আনি, এতে আমার অনেক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়। এরই জের ধরে গত ইং ১৯ জুলাই আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমার সাহা, আমাকে না জানিয়ে ঢাকার একটা ভাড়া ধরে। চার জন যাত্রী নিয়ে মধুখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এস আই জাকির নামে ডিবির একজন সদস্য পথিমধ্যে আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তোলেন। এরপর ফরিদপুর রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পৌঁছালে, ডিবির গাড়ি সামনে মোটরসাইকেল সহ আমার নোহাগাড়ীর সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় । আমার নোহা গাড়ী লাইসেন্স নং- ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-১০২০। যার রঙ মেরুন। তখন আমার ড্রাইভারকে থামাতে সংকেত দিলে আমার ড্রাইভার গাড়িটি থামায় এবং আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমার সাহা কে মোটরসাইকেল করে ডিবি অফিসে নিয়ে যায় এবং আমার গাড়িটি ডিবি লোক চালিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়।

সামাদ খান বলেন, এরপর আমাকে ওসি রাকিব ২০ তারিখ ফোন করে ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ফোন কেটে দেন এবং এস.আই জাকির আমাকে ফোন করে ওসি রাকিব স্যারের কথা বলে আবারো ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি টাকা দিতে চাইনি বলে আমার গাড়িটি ক্ষমতার বলে একটা মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয় তারা। যাহার মামলার নং- ৬৪ কোতয়ালী জি আর ৬১৭/২৩ এবং এই মামলায় আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমারকে ৬ নং পলাতক হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমার সাহা কে ধরে নিয়ে যায়। দুই লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে পরের দিন ২০ তারিখ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। যাহার প্রমাণ ফরিদপুর জেলা এস.পি. অফিসের সি.সি. টি.ভি. ফুটেজ দেখলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ওসি রাকিব ২১ জুলাই রাতে আমাকে ফোন দিয়ে গালিগালাজ করে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সারা জীবন জেলে রাখার হুমকি দেয়। এসময় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে পুলিশ প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও পুলিশ হেড কোয়ার্টারে একটি চিঠি দিয়েছি ডাক বিভাগের মাধ্যমে জি-পি- করে। এরপর থেকে তার দৌরাত্ম আরও বেড়েছে। সেই থেকে প্রতিদিন ডিবি আমাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে, আমি জীবনের ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি না। যে কোন সময় ওসি ডিবি রাকিব আমাকে মেরে ফেলতে পারে, অথবা আমাকে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিতে পারে।

এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী সামাদ খান গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায়বিচার সহ জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন।

ওসির ব্যাক্তিগত রোষানল থেকে বাঁচতে ন্যায়বিচারের দাবি

ঢাকা: ফরিদপুরের ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা রাকিবের ব্যাক্তিগত রোষানল থেকে বাঁচতে জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছামাদ খান।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

ছামাদ খান বলেন, আমি একটি পেশায় একজন ঔষধ ব্যবসায়ী এবং আমার একটি রেন্ট এ কারের ব্যবসা আছে। ওসি ডিবি রাকিব ২০১৭ সালে আমার নিজ থানা মধুখালীতে ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন আমার পারিবারিক একটি মামলা হয়, সেই মামলায় ওসি রাকিব নিজে তদন্ত করে এবং আমার নিকট মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। আমি তখন ৩০ হাজার টাকা দেয়, এবং তার চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে সে আমাকে তখন বলেছিল, এর পরিনাম অনেক খারাপ হবে।

তিনি বলেন, ঐ সময়ে আমার একটা মাইক্রোবাস রেন্ট এ কারে ভাড়ায় চলতো। সে আমার তখনকার সেই পারিবিরিক মামলায় আমার মাইক্রোবাসটি একটি মিথ্যা মামলায় জব্দ। পরে আমি কোর্ট থেকে গাড়ি অনেক দিন পরে ছাড়িয়ে আনি, এতে আমার অনেক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়। এরই জের ধরে গত ইং ১৯ জুলাই আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমার সাহা, আমাকে না জানিয়ে ঢাকার একটা ভাড়া ধরে। চার জন যাত্রী নিয়ে মধুখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এস আই জাকির নামে ডিবির একজন সদস্য পথিমধ্যে আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তোলেন। এরপর ফরিদপুর রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পৌঁছালে, ডিবির গাড়ি সামনে মোটরসাইকেল সহ আমার নোহাগাড়ীর সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় । আমার নোহা গাড়ী লাইসেন্স নং- ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-১০২০। যার রঙ মেরুন। তখন আমার ড্রাইভারকে থামাতে সংকেত দিলে আমার ড্রাইভার গাড়িটি থামায় এবং আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমার সাহা কে মোটরসাইকেল করে ডিবি অফিসে নিয়ে যায় এবং আমার গাড়িটি ডিবি লোক চালিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়।

সামাদ খান বলেন, এরপর আমাকে ওসি রাকিব ২০ তারিখ ফোন করে ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ফোন কেটে দেন এবং এস.আই জাকির আমাকে ফোন করে ওসি রাকিব স্যারের কথা বলে আবারো ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি টাকা দিতে চাইনি বলে আমার গাড়িটি ক্ষমতার বলে একটা মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয় তারা। যাহার মামলার নং- ৬৪ কোতয়ালী জি আর ৬১৭/২৩ এবং এই মামলায় আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমারকে ৬ নং পলাতক হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ আমার ড্রাইভার প্রশান্ত কুমার সাহা কে ধরে নিয়ে যায়। দুই লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে পরের দিন ২০ তারিখ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। যাহার প্রমাণ ফরিদপুর জেলা এস.পি. অফিসের সি.সি. টি.ভি. ফুটেজ দেখলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ওসি রাকিব ২১ জুলাই রাতে আমাকে ফোন দিয়ে গালিগালাজ করে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সারা জীবন জেলে রাখার হুমকি দেয়। এসময় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে পুলিশ প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও পুলিশ হেড কোয়ার্টারে একটি চিঠি দিয়েছি ডাক বিভাগের মাধ্যমে জি-পি- করে। এরপর থেকে তার দৌরাত্ম আরও বেড়েছে। সেই থেকে প্রতিদিন ডিবি আমাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে, আমি জীবনের ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি না। যে কোন সময় ওসি ডিবি রাকিব আমাকে মেরে ফেলতে পারে, অথবা আমাকে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিতে পারে।

এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী সামাদ খান গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায়বিচার সহ জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।