বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়া পোস্ট ডেস্কঃ
দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আরেকটি ধাপ।’
পাবনার ঈশ্বরদীর প্ল্যান্টে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করা হবে, এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আরেকটি পদক্ষেপ।’
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো ধরনের দুর্যোগের সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্ল্যান্টের নকশা ও নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমাদের স্বপ্নের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া ও বাংলাদেশ গত কয়েক বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর রাশিয়া সফরে গিয়ে এ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়েছেন। সেখান থেকে এসে তিনি এ প্রকল্পের দায়িত্ব দেন পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে। ১৯৯৬ সালে আমরা জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নিতে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছিলাম। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় বন্ধুপ্রতীম রাশিয়া আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেছে। তাই রাশিয়ান ফেডারেশনের সবাই বিশেষ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।”
প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা পরমাণু শক্তি সম্পূর্ণ শান্তিপূ্র্ণ কাজে ব্যবহার করব। এ বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। তাই এটি রক্ষায় আমরা আইন প্রণয়ন করেছি। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জ্বালানি ইউরেনিয়াম রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে চালু হবে। ফেডারেশন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি উপস্থিত থেকে জ্বালানি ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করায় বাংলাদেশ সম্মানিত বোধ করছে।”
পারমাণবিক শক্তি শান্তিরক্ষায় ব্যবহার করব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আমরা বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছি। একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই কর্তৃপক্ষ আইএইএ’র (আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সি) সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।’