বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার প্রতিনিধি
রাত ৮টা থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূল অতিক্রম শুরু করে বর্তমানে কক্সবাজার অতিক্রম করেছে। এ সময় ঝড়ো বাতাসে গাছপালা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডসহ বাইরে নানা সরঞ্জাম উপড়ে গিয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় হামুন।
হামুনের প্রভাবে সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ সময় হালকা বাতাস হলেও সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। বাতাসের তীব্রতায় সড়কের উভয় পাশের ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় সাইনবোর্ড উপড়ে সড়কে পড়ে যায়। সমানে ভেঙে পড়েছে গাছের ডালপালা। শহরের অনেক উপসড়কেও গাছ ভেঙে পড়ে জন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘হামুন’ আরও দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় সন্ধ্যায়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে ঝড়ো বাতাসসহ কক্সবাজারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত এখনো বহাল আছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, সন্ধ্যা ৭টার পর হতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ কক্সবাজারসহ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে বলে খবর পেয়েছি। শহরের মতো উপকূলের গ্রামের অনেক কাঁচা ঘরবাড়ির চালা, গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পেয়েছি। পুরো অতিক্রম করা শেষ হলে বুধবার দিনের বেলা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক জানা যাবে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানা গেছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে