শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

আমন ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে চিন্তিত কৃষক।

ফরিদ আহামেদ, দৌলতপুর প্রতিনিধি।

কুষ্টিয়া দৌলতপুর এতে চলতি মৌসুমে আর ২০/২৫ দিনের মধ্যে আবাদি আমন ঘরে তোলার দিন গুনছে কৃষকেরা। কিন্তু ধানে পাকধরা শুরু হবার সাথে সাথে বাদামী গাছ ফরিং অর্থাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় অনেক কৃষক আধাপাকা ধান কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকা দমনে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়লিয়া, আদাবাড়িয়া, মথুরাপুর, পিয়ারপুর ও রিফাইতপুর ইউনিয়নের বেশীর ভাগ আবাদি ধান ক্ষেতে বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। ছোট আকারের এই বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকা ধান গাছের গোড়ার রস চুষে খায়, যার ফলে ধান গাছ শুকিয়ে যায় এবং ধানের ফলন হয় না।
উপজেলার কৃষি অফিস কর্তৃক দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবার উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৯ হজার ৮৭০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে। যা চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। এছাড়া আমন চাষিদের মাঝে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ২৫০ জন চাষিকে । এবার ফলন হিসাবে চালের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার ৫৯২ টন।
কিন্তু কারেন্ট পোকার আক্রমণে সেই লক্ষমাত্রা অর্জনে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। কেননা, আমন আবাদ অনেকটা বৃষ্টি নির্ভর হলেও এবছর অনাবৃষ্টির ফলে পুরো মৌসুমে পানির জন্য শতভাগ সেচযন্ত্র ব্যবহার, সার, কীটনাশক, জ্বালনীর উচ্চমুল্যের কারণে, আবাদি খরচ দ্বিগুণেরও বেশী হওয়ায় একদিকে যেমন লোকশানে পড়ার শঙ্কা। তারপর কারেন্ট পোকার প্রভাবে ধানের ফলন না হওয়ায় দুঃন্তিায় ভুগছেন কৃষক।
উপজেলার বোয়ালিয়া গোয়ালগ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান কানু জানান, তার আবাদি ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় দ্রুত আধাপাকা ধান কেটে নিয়েছেন। কারেন্ট পোকার কারণে তার লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগ ধান পেয়েছেন তিনি।
গোয়ালগ্রাম খান পাড়া গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন খান জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। কারেন্ট পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ায় অর্ধেক জমির ধান ইতিমধ্যে আধাপাকা অবস্থায় কেটে নিয়েছেন।
উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ এলাকার চাষি আসারুল ইসলাম জানান, এবার তার ১ বিঘা আমন চাষে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এখন পোকার আক্রমণে ফলন না হলে পুরোটাই লোকশান হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম জানান, এ এলাকায় বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকার উপদ্রব লক্ষ্য করা গেছে। পোকা দমনে চাষীদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং চাষীদের সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ সহ ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। তাছাড়া পুরাতন জাতের ব্রি-ধান ৩৩ ও ব্রি-ধান ৩৯ আবাদ না করার জন্য চাষীদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কেননা, এই ধানগুলোকে কারেন্ট পোকায় বেশী ক্ষতি করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।