সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অগ্রহায়নের ভরা ক্ষেত এখন কৃষকের গোলায় উঠতে শুরু করেছে। তাইতো নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি কৃষক-কৃষাণীর ঘরে ঘরে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব। কুষ্টিয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এ বছর যে হারে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, সে হারে ধানের ফলন হচ্ছে না বলে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ।
কুষ্টিয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে চলতি মৌসুমে ৮৮হাজার ৯১৯হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। তবে সার, কীটনাশক ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এরপর ছিল পোকার আক্রমণ। ফলে ধানের ফলন বাড়েনি।
বিঘা প্রতি ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন হচ্ছে বিঘাপ্রতি ১২মন থেকে ১৫ মন। খরচ বাদ দিলে লাভের অঙ্ক কম। তাইতো জেলার কুমারখালী উপজেলার সাঁওতা গ্রামের কৃষকদের মাঝে রয়েছে দুশ্চিন্তা। তারপরও তারা খুশি।
উৎপাদন খরচ বাড়লেও কৃষকদের মাঝে ধানের উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানসহ করায় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ।
যারা মাটি চিরে সোনার ফসল ফলায়, সেই সোনা ফলানো কৃষকদের দাবি ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হলে ধান চাষে আগ্রহ বাড়বে কৃষকদের।