বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

এক কমিটিতেই ১১ বছর পার!

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

এগার বছর আগের কমিটি দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। কেন্দ্রে কমিটি আসে-যায়, কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগরের কমিটি পাল্টায় না। মহানগরের আশপাশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম উত্তর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হলেও ১১ বছরেও টনক নড়েনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। ২০১৩ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র থেকে দেয়া কমিটি এখনো টেনেটুনে নিচ্ছে বৃহত্তর এই সংগঠনকে।

২৯১ সদস্যের নগর কমিটিতে নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় বেশির ভাগই বিবাহ করে সংসারী হয়েছেন। আবার তাদের অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। সংগঠনের কাজে সময় দেন না। এ কারণে সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এগার বছর আগে এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২০১১-২০১৫ মেয়াদের ওই কমিটির পর ২০১৫-২০১৮ মেয়াদে মো. সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইন সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৮-১৯ মেয়াদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সভাপতি ও মো. গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপরে আল নহিয়ান খান জয় সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আসলেও সেই আগের অবস্থানে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। পরিবর্তনের সুবাতাস নেই সংগঠনে।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বিবার্তাকে বলেন, ‘নগর সম্মেলন করার জন্য প্রস্তুত আছি। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সম্মেলন করতে পারব। ’

মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল বিবার্তাকে বলেন, ‘নগর ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথাও নেই। আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটি বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছি। বর্তমান মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির অন্তত ৭০ শতাংশ বিবাহিত।

এ বিষয়ে জানতে সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটির আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেকে ছাত্রনেতা জানিয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, শীর্ষ পদ-প্রত্যাশীদের শিগগিরই বায়োডাটা আহ্বান করবে কেন্দ্র। দীর্ঘ এক দশক পর নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের আভাস তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।

নতুন কমিটি গঠনের আভাস ছড়িয়ে পড়ায় নিজেকে শীর্ষপদে এগিয়ে রাখতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে। অনেকেই চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে শীর্ষপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনায় রয়েছেন ৩৬ জন ছাত্রলীগ নেতা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক নগর ছাত্রলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল।

এরপর ২০১৪ সালের ১১ জুলাই আগের ২৪ জনসহ ২৯১ সদস্যের ঢাউস সাইজের নগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ওই কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।