বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

চাঞ্চল্যকর মিলন হত্যায় সজিবসহ ৬জনকে আদালতে সোপর্দ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

চাঁদার জন্য কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন নামে এক যুবককে হত্যা করে ৯ টুকরো করার ঘটনায় আটক ৬জনকে ৪ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে আদালতে নেওয়া হয়।

নির্মম হত্যার ঘটনায় নিহত মিলনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং ৬। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পরিবারে লোকজন। তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।

এদিকে দিন শেষে সন্ধ্যার কিছু সময় পূর্বে মিলন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি এসকে সজিবসহ ৬জনকে আদালতে নেওয়া। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন সন্তান হারা পিতা মওলা বক্স, মা শেফালি খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা।

শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের ছেলে মিলকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশীরাও হতবাক। তারাও চান এমন পাশবিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলামান রয়েছে। চাঁদা ব্যাতিত আরো কোনো ঘটনা জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামি এসকে সজিবের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুরের পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন হোসেনের ৯ খন্ডে বিভক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩১ জানুয়ারি সে নিখোঁজ হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানায় মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুনের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে ঘটনায় জড়িত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এসকে সজিবসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশ।

পরে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরো ১জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যা শেষে ৯ টুকরো করে হরিপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। এমন হত্যাকাণ্ডে কুষ্টিয়া জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

নিহত মিলন হোসেন (২৭) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব বাহিরমাদি গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে। তিনি অনলাইন ও আউট সোর্সিং ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। চাঁদার দাবিতে তাকে অপহরণের পর হত্যা করে ৯টুকরো লাশ পদ্মার চরে পুঁতে রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।