বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

রাবি শিক্ষক হাফিজুরকে ৫ বছরের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি

রাবি প্রতিনিধিঃ

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে পাঁচ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর তিনি বিভাগের কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।  

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উজ-জামান কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ আমরা একটি একাডেমিক সভা আহ্বান করি। সেখানে ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠাবো। বিভাগের শিক্ষার্থীদেরও আমরা ডেকেছি, তারা মেনে নিয়েছে। আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা যথা সময়ে চলবে।

এর আগে গত সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান। 

ওই ছাত্রী ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের কাজ কী? অবিবাহিত লুচ্চা শিক্ষকদের কেন ক্লাস দেওয়া হয় যারা বোরকা এবং হিজাবের মতো এতো সেনসিটিভ একটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে? ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হয়ে তার এই সাহস কীভাবে হলো? নেকাব খুলতে বাধ্য করা, পর্দাশীন মেয়েদের হেনস্তা করা, মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্যাকেট হয়ে এসেছো বলা, ট্যুরের নাম দিয়ে নিয়ে গিয়ে বাংলা-হিন্দি গানে নিজে নাচা ও ছাত্রীদের নাচানো, এসব কিছু এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা কীভাবে করে? সংখ্যাটা যদি কমও হয়, অন্য শিক্ষকরা কি এতটাই জিম্মি তাদের কাছে? নাকি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ইসলামি ভাবধারার বাইরের শিক্ষক বেশি? এই শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বলছি তোমরা এক হও। এসকল বেয়াদব শিক্ষকদের সকল ইয়ারে ক্লাস থেকে বিরত রাখার দাবি জানাচ্ছি। চেয়ারম্যান স্যার এবং ডিনস স্যারের কাছে এর একটা সুষ্ঠু ফয়সালা কামনা করছি। 

পরে বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হাফিজুর রহমান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে ওই শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে দুই দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। পরে দুপুরে অনুষ্ঠিত একাডেমিক সভায় অভিযুক্ত শিক্ষকড. হাফিজুর রহমানকে পাঁচ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।