শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

হিলিতে তরমুজের চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে

হিলি প্রতিনিধি

বছর ঘুরে আবারও এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। যার ফলে দিনাজপুরের হিলিতে পবিত্র রমজান মাসে বেড়েছে মৌসুমি ফল তরমুজের চাহিদা। সেই সঙ্গে দামও বেড়েছে। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এরপরও দিন শেষে রোজাদাররা ইফতারির জন্য কিনছেন তরমুজ।

ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এত দিন তরমুজ কিনেছি পিস হিসেবে এখন কেজি হিসেবে। তারা সুযোগ বুঝে ৬০ টাকা কেজি দরের তরমুজ বিক্রি করছেন ৮০ টাকায়। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না।

অপর দিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে। আগে দাম কম ছিল কম দামে বিক্রি করেছি। এখন বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।

১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার দুপুরে হিলি ফল-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

হিলি বাজারে ইফতার সামগ্রী কিনতে এসেছছিলেন মুকুল হোসেন। ইফতারির মোটামুটি সব আইটেম কেনা শেষ। শখের বসে এসেছিলেন ফল বাজারে। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ইফতারির সব আইটেম কেনা শেষ। ফল-বাজারে এসেছি খেজুর কিনতে। দেখি থরে থরে মৌসুমি ফল তরমুজ সাজানো।

প্রতিকেজির দাম হাঁকছে ৮০ টাকা। অথচ রোজার আগেই দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি।

তিনি আরও বলেন, তরমুজ তো আর কেটে বিক্রি করে না। তাই গোটা তরমুজ ওজন করে যা হয়, তার পুরোটাই নিতে হয়। এখানে দেখছি ২ কেজি ওজনের নিচে কোনো তরমুজ নেই। ২ কেজি তরমুজের দাম ১৬০ টাকা। এটা কি সবার পক্ষে কেনা সম্ভব? তাই তরমুজ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।

বাজারে আসা আরেক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, তরমুজ হলো মৌসুমি ফল। রমজানের আগে বাজারে এসেছে। তাই চাহিদা একটু বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার চেয়ে বেশি বেড়েছে দাম। রোজার আগে যে তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি সেটাই এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। ব্যবসায়ীরা ফাঁদ পেতে বসেছেন। তাই ইচ্ছে থাকার পরও অনেকে তরমুজ কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ তার।

হিলি বাজারের ফল বিক্রেতারা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের তরমুজ এখনো বাজারে আসেনি। আমাদের নাটোর, নলডাঙ্গাসহ অনেক দূর থেকে এসব তরমুজ আনতে হচ্ছে। আগে মোকামে কিনতে দাম পড়ত ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। হিলি পর্যন্ত আনতে সব খরচ দিয়ে ৫৫ টাকা কেজি। বিক্রি করেছি ৬০ টাকা কেজি। আর এখন মোকামে কিনতেই দাম পড়ছে ৭০ টাকা কেজি। সেই সঙ্গে বেড়েছে গাড়ি ভাড়াও। সবমিলিয়ে হিলিতে আনতে ৭৫ টাকা কেজি খরচ পড়ছে। তাই বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজি দরে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিরামপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাটের তরমুজ বাজারে এলে দাম এমনিতেই কমে আসবে বলে আশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।