বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

রাবিতে দলবদ্ধ ইফতারে সম্প্রীতির বন্ধন

গত বছরের ন্যায় এবারও অর্ধেক রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। রমজানে ক্লাস-পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বা মেসগুলোতে। পরিবারের সঙ্গে থাকলে হয়তো মায়ের হাতের বাহারি আয়োজনে জমে উঠতো ইফতার। তবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করায় বন্ধুদের সঙ্গেই ইফতার সারতে হচ্ছে।

এদিকে অনেকেই আবার ক্লাস-পরীক্ষা শেষে নিজ মেস, ছাত্রাবাস বা হলে রুমমেটরা মিলে গোল হয়ে করেন ইফতার। ইফতারগুলোতে যে শুধু মুসলিমরা অংশগ্রহণ করছেন তা নয়। অনেক হিন্দু শিক্ষার্থীও অংশগ্রহণ করছেন। এভাবেই সম্প্রীতির বন্ধনে মিলিত হচ্ছেন তারা।

বিকেল হতেই দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা ইফতারের যাবতীয় সামগ্রী ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, শরবত, তরমুজ, আনারস, পেয়ারা, কমলা, আঙ্গুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন আইটেমের খাবার কিনে আনছেন।

সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠ, শেখ রাসেল মাঠ, শহীদ মিনার চত্বর, জুবেরি মাঠ, সাবাস বাংলাদেশ মাঠসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ছাদে, বিভিন্ন বিভাগের গ্যালারি কক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভাগ ও ব্যাচের ইফতার।  এছাড়াও মেসের প্রতিটি রুমেই রুমমেটদের সঙ্গে ইফতার তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে জেলা সমিতি, উপজেলা সমিতি এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ইফতার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম আকাশ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে থাকেন। নিয়মিত ইফতার করেন রুমমেটদের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হলে রুমমেটদের সঙ্গে ইফতার করলে রোজার মাসে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে না পারার অপূর্ণতা আর থাকে না। মনে হয় পরিবারের সঙ্গেই তো আছি। এছাড়াও বন্ধুবান্ধব ও সিনিয়র-জুনিয়র সবার সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার করলে খুব অল্প কিছুও অমৃত মনে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক পাশেই বিনোদপুর এলাকা। সেখানকার রিয়াদ ছাত্রাবাসে থাকেন ফরহাদ নামে এক শিক্ষার্থী। থাকেন চার সিটের একটি রুমে। প্রতিদিন নিজ ছাত্রাবাসেই সবার সঙ্গে ইফতার করেন তিনি। আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস খোলা থাকায় এবার বাসায় এখনো যেতে পারিনি। রোজার মাস হওয়ায় একা ইফতার করাটা কষ্টের। তাই প্রতিদিন মেসেই সবার সঙ্গে ইফতার করি। এভাবে একসঙ্গে ইফতার করতে খুবই ভালো লাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিনিয়া ফারজানা প্রেমা বলেন, ক্যাম্পাসে এটাই আমার প্রথম রমজান। ইফতারের বিষয়টা দলবদ্ধ হয়ে না করলে ভালো লাগে না। তাই আমরা বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেই পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার আনন্দ উপভোগ করি।

বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণকারী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মারুফ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ইফতার করা আসলেই অনেক সুন্দর ব্যাপার। হাদিসেও সবাই একসঙ্গে ইফতারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে সবার মধ্যে মিল-মহব্বত সৃষ্টি হয়, আর রমজানের বরকতে সেটা দীর্ঘস্থায়ীও হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।