বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা পানিতে প্লাবিত হয়েছে চরের নিম্নাঞ্চল।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৮০ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে।
তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে।
জানা যায়, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ফের ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আবারো পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গীমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ডাউয়াবাড়ী,
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চরবৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চোরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চর গোবরধন, এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজের সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে থাকলেও আজ সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব গেট খুলে দেয়ায় তিস্তা ব্যারেজে এখন বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ কমিয়ে ব্যারেজ রক্ষায় সব কয়টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। পানি বাড়ায় জেলার ৬৩টি চর ও পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারেজের স্বাভাবিক প্রবাহ ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। কিন্তু শুক্রবার সকালে তিস্তা পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিস্তায় পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। তিস্তা ব্যারাজের পানিবিজ্ঞান শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।