বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনের কারণে প্রায় ৫ মাস বন্ধ থাকার পর দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, বাইক্কা বিলসহ সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই ভিড় নামে পর্যটকদের। 

রোববার (২২ আগস্ট) সকাল থেকেই পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে এসব স্থান। শুধু লাউয়াছড়াই নয় পর্যটকরা সেখান থেকে দলবল নিয়ে যাচ্ছেন মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, বড়লেখার মাধবকুন্ড,

কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকসহ বিভিন্ন চা-বাগান। সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর‌ও বন্ধ ছিল মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। 

রোববার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। কিন্তু প্রবেশদ্বার অতিক্রম করার পর অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক পাওয়া যায়নি। ছবি তোলা কিংবা অক্সিজেন গ্রহণের জন্য অধিকাংশ পর্যটকই মাস্ক রাখছেন না মুখে।

তবে পর্যটকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্যানে চলাচল করেন, সেজন্য কাজ করছে লাউয়াছড়া উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পর্যটন পুলিশ ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট লোকজন। 

কমলগঞ্জ জীব বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ আজাদ মান্না বলেন, করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করলে তা নিরাপদ হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পর্যটন পুলিশের এসআই নাছির উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আগত পর্যটকদের বলা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই, তাদের টিকিট কাউন্টার থেকে মাস্ক সংগ্রহ করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি, পাশাপাশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ। 

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা আসার পর থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

তবে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আসা দর্শনার্থীদের করোনার বিধিনিষেধ মানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর আমরা ভেতরে প্রবেশ করতে দেই। 

এদিকে দীর্ঘ দিন পর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় স্বস্তি বিরাজ করছে মৌলভীবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলগুলোর ব্যবসায় নেমে এসেছিল মন্দা। 

হোটেল প্যারাডাইসের মালিক আবুজার বাবলা বলেন, করোনার কারণে হোটেলও বন্ধ রাখতে হয়েছে। নিজেদের পকেটের টাকা থেকে ৮-১০ জন কর্মীর বেতন দিতে হয়েছে প্রতি মাসে। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। স্বাস্থ্যবিধি ও প্রস্তুতির বিষয়ে আমরা শতভাগ প্রস্তুতি নিয়েছি। 

লাউয়াছড়া ইকো ট্যুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহাদ মিয়া বলেন, করোনায় সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমাদের প্রায় ২৫ জন গাইড কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।

তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের এ দুঃসময়ে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। এখন পর্যটন কেন্দ্র খুলছে, অনেক পর্যটক ইতোমধ্যে যোগাযোগও করছেন।

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বন বিভাগের সব পর্যটন কেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীরা এসব স্থানে প্রবেশ করবেন। 

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, সরকারি নির্দেশে সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে প্রয়োজনে পর্যটন কেন্দ্র আবার বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।