বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আছিয়া খাতুনের বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। নির্বাচন অফিসের ভুলের কারণে তিনি জীবিত থেকেও আজ মৃত। অবশ্য তিনি যে ‘মৃত’ এ তথ্য তার জানা ছিল না। বয়স্কভাতার আবেদন করার সময় তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
আছিয়া খাতুন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গড়মাছুয়া নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে বয়স্কভাতার আবেদন করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এ সময় কম্পিউটার অপারেটর তার আবেদন পূরণ করতে ব্যর্থ হন। পরে আছিয়া খাতুন হোসেনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান।
সেখানে কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তিনি এখন আর জীবিত নন।
স্থানীয়রা জানান, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধা আছিয়া খাতুনের দিন কাটে খুব কষ্টে। অভাবের সংসার। লোকমুখে ৩১ আগস্ট বয়স্কভাতার আবেদনের শেষ তারিখ জানতে পেরে তিনি স্থানীয় একটি কম্পিউটার অপারেটরের দোকানে যান। এরপরই ধরা পড়ে এই ভুল। এ ঘটনায় তিনি খুবই হতাশ হয়েছেন।
আছিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। সেখানে নাম, স্বামীর নাম, ঠিকানা সব লেখা আছে। তারপরও কীভাবে আমি মৃত বুঝতে পারছি না। সবাই বলছে নির্বাচন অফিস ভুল করেছে। কিন্তু এমন ভুলের খেসারত এখন আমাকে দিতে হবে?’
আছিয়া খাতুনের ছেলে আব্দুস সালাম ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়েছি! এত বড় ভুল নির্বাচন অফিস কীভাবে করলো? আমার মা জীবিত থাকা সত্ত্বেও তারা কীভাবে মাকে মৃত দেখাচ্ছে- আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী নারী ভোটার আছিয়া খাতুনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তালিকায় নতুন করে তার নাম অন্তর্ভুক্তি করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিচয়পত্র ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।